নির্বাচনের আগে গুজব ছড়িয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর অপচেষ্টা বিএনপির

নিউজ ডেস্ক : জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বাধানোর অপচেষ্টা করছে বিএনপি-জামায়াত। এর আগে বেশ কয়েকবার সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা চালিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার অপচেষ্টা করেছে এই সাম্প্রদায়িক অপশক্তি। এর মধ্যে কক্সবাজারের রামুর বৌদ্ধ বিহার ও বসতিতে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ছিলো অন্যতম। সরকারবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামে ব্যর্থ হয়ে নির্বাচন ঠেকাতে আরেকটি ‘রামুকাণ্ড’ ঘটানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি-জামায়াত।

২৮ অক্টোবরের সমাবেশের নামে নারকীয় সহিংসতা এবং পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করে আরও বেকায়দায় পরেছে বিএনপি। জনসমর্থন যতটুকু ছিলো তাও হারিয়ে নিশ্চিত পরাজয় মেনে নিয়ে নির্বাচন থেকে দূরে রয়েছে দলটি। কিন্তু নির্বাচন বানচালের সকল অপচেষ্টায় অব্যাহত রেখেছে দলটি।

সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচনের আগ মুহূর্তে নাশকতার মাধ্যমে সারা দেশে ভয়াবহ পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায় বিএনপি-জামায়াত। তাই এবারের টার্গেট সংখ্যালঘু। তাই আবারো সামাজিক মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে এমন গুজব ছড়ানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বিএনপির সাইবার টিম। গুজব ছড়িয়ে কক্সবাজারের রামুর মতো বৌদ্ধ বিহার ও বসতিতে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়ে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করে ভোটবিমুখ করতে চায় এই সাম্প্রদায়িক শক্তি।

নির্বাচনের আগে জনগণের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করতে বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা করছে বিএনপি-জামায়াত। নিরীহ মানুষকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করতে চাচ্ছে, যেন জনগণ ভোট কেন্দ্রে না যায়, ভয়ে ঘরে থাকে। এটিই এখন তাদের লক্ষ্য।

তাই নির্বাচনের আগে দেশবাসীকে সচেতন থাকতে হবে। অপ্রীতিকর, সন্দেহজনক কিছু চোখে পড়লেই আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সহায়তা নিতে হবে।