নির্বাচন বয়কট এবং স্বাধীনতার মূলমন্ত্র ক্ষুণ্ণ করতে বিএনপি-জামায়াতের যতো কূটকৌশল

1 min read

নিউজ ডেস্ক: সাংবিধানিক ভাবে নির্বাচন একটি দেশের জন্য জরুরী হলেও বিএনপি নির্বাচনে না গিয়ে বিদেশি শক্তির মাধ্যমে জোর করে কোনো না কোনো ভাবে ক্ষমতায় বসতে চাচ্ছে। তাদের এই বাসনা অধরা থেকে যাওয়ায় বর্তমানে হরতাল আর সহিংস রাজনীতিকে বেছে নিচ্ছে বিএনপি। মূলত নির্বাচনের পরিবেশকে নষ্ট করে স্বাধীনতার মূলমন্ত্রকে ভূলুণ্ঠিত করতে চাচ্ছেন তারা।

বিএনপি নেতারা বলছেন, দীর্ঘদিন ক্ষমতায় না থাকায় ক্রমেই জনপ্রিয়তা কমছে বিএনপির। ক্ষমতায় ফিরতে যেকোনো উপায়ে হলেও সরকারের পতন ঘটিয়েই ঘরে ফিরবেন তারা, অতীতের মতো হামলা করে এবার আর তাদের আন্দোলন দমানো যাবে না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘জনগণের উপস্থিতি কম থাকলেও আন্দোলনের প্রস্তুতি আছে, সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে। যদিও ৪৯ দিন ধরে বিএনপি কার্যালয়ে আমাদের কোনো নেতাকর্মী নেই। তবে সেটা ভিন্ন বিষয়।’

তবে রাজনৈতিক বোদ্ধারা বলছেন, বেগম খালেদা জিয়াকেও যখন দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত করা হয়েছিল, তখনও অনেকে মনে করেছিল যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হবে। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়ার বিষয়ে বিগত পাঁচ বছরেও কিছুই করতে পারেনি তারা।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস বলেন, গত কিছুদিন ধরেই সরকার নতুন করে বিএনপি নেতাদের ধরপাকড় ও গ্রেপ্তার শুরু করেছে। বিশেষ করে পুরনো মামলাগুলোয় বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে নানা রকম হয়রানি করা হচ্ছে বলেও তারা অভিযোগ করেছে। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে এ ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়েছে। তারা বলেছেন, কোনভাবেই বিরোধী দলের উপর কোনরকম দমন নিপীড়ন করা হচ্ছে না। আইন সকলের জন্য সমান। যারা আইনের দৃষ্টিতে অন্যায় করেছে বা বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে যুক্ত তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। বিচারিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই।

অপরদিকে নির্বাচনের আগে যখন বিরোধী দল বিএনপি বড় ধরনের আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখন এই মামলা এবং দণ্ড আন্দোলনকে প্রভাবিত করবে বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। একটি সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলেই মনে করছেন তারা। বিএনপি’র পক্ষ থেকে তাদের জোট গুলোকে নিয়ে চূড়ান্ত আন্দোলনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। অন্যদিকে সরকারও পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে সারা দেশে শান্তি সমাবেশ এবং গণসংযোগের মাধ্যমে রাজনীতির মাঠে নিজেদের কর্তৃত্ব অব্যাহত রাখতে চাইছে। ফলে নির্বাচনের আগেই একটি উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতির শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours