নিউজ ডেস্ক: জনগণের সমর্থন না থাকায় কোনোভাবেই ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা নেই বিএনপির। এ কারণে দেশে পর্যাপ্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য মজুদ থাকার পরও সারাদেশের বাজার পরিস্থিতি বেসামাল করার পাঁয়তারা করছে বিএনপি-জামায়াত চক্র। বিএনপির শক্তিশালী সিন্ডিকেটই এ পরিস্থিতি তৈরি করেছে বলে মত দিচ্ছেন বিশিষ্টজনরা।
ইতোমধ্যে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের তত্ত্বাবধানে দেশের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য দলটির তিন নেতাকে যে দায়িত্ব দেয়া হয় বলে প্রমাণ এসেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে।
জানা যায়, দাম বাড়িয়ে দেশের পরিস্থিতি নাজুক করে দিতে সব রকমের ষড়যন্ত্রের জন্য প্রস্তুত রয়েছে বিএনপি। যদিও দেশবিরোধী চক্রের সকল পরিকল্পনা ধূলিসাৎ করে দেশের বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সচেষ্ট রয়েছে সরকার।
এ প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আমদানি পর্যায়ে তেল, চিনিসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর শুল্ক কমানোর জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) বহু আগেই নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিসভা। বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় ভোজ্যতেলের বর্তমান মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে এবং কেউ অতিরিক্ত দাম রাখলে ১৬১২১ নম্বরে ফোন করে অভিযোগ করার সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অসাধু মুনাফাখোর মজুতদারদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে, হাজার হাজার টন ভোজ্যতেল উদ্ধার হচ্ছে। আমরা আশা করি, বাজারের এই সংকট থাকবে না এবং অল্প সময়ের মধ্যেই দ্রব্যমূল্য পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবো।
বিশিষ্টজনরা বলছেন, দেশের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। মানুষের ক্রয় ক্ষমতাও বেড়েছে কয়েকগুণ। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন। সামান্য মূল্যবৃদ্ধিতে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হোক এমন কিছু যাতে না ঘটে, সেদিকে নজর রাখতে হবে।
+ There are no comments
Add yours