তারেকের টাকায় নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে মেতেছে জুলকারনাইন সায়ের

1 min read

নিউজ ডেস্ক : কোনো চাপ বা কারো পরামর্শে নয়, রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে জাতীয় পার্টি। নিজেদের প্রার্থী চূড়ান্ত করেছেন। নির্বাচন কমিশন থেকে তাদের দলীয় প্রতীকও বরাদ্দ করা হয়েছে। ঠিক এই সময় নির্বাচন এবং জাতীয় পার্টিকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে লন্ডন থেকে অপপ্রচার শুরু করেছেন বিতর্কিত সাংবাদিক জুলকারনাইন সামি। অনেকের কাছে তিনি মানসিক বিকারগ্রস্ত হলুদ সাংবাদিক হিসেবেও পরিচিত।

সামাজিক মাধ্যমে বাংলাদেশের গোয়ান্দা সংস্থা ডিজিএফআই এবং পুলিশকে জড়িয়ে মিথ্যাচার করেছেন এই তথাকথিত সাংবাদিক। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে কোন শর্ত ছাড়াই যোগদিতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও কয়েকজন সিনিয়র নেতাকে নাকি ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছেন গোয়েন্দা সংস্থার কতিপয় সদস্য। আর এ সময় নাকি জাতীয় পার্টির কার্যালয় প্রায় ২০০ পুলিশ সদস্য ঘিরে রেখেছিলো। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

খোদ জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হেলাল উদ্দিন জানিয়েছেন, গত এক মাসে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে বা আশে পাশে ২০ জন পুলিশ সদস্য জড়ো হয়নি, ২০০ জন তো দূরের কথা। তিনি বলেন, ‘গত এক মাস ধরে আমি দলের পার্টি অফিসে সারাদিন সময় দিচ্ছি- ডিজিএফআই তো দূরের কথা কোনো পুলিশ অফিসারও আমাদের কার্যালয়ের মূল ফটকের ভেতরে প্রবেশ করেনি। এসব পুরোটাই অপপ্রচার। জাতীয় পার্টি ২৮৩ আসনে দলীয় মনোনয়ন দিয়ে নির্বাচন করছে। যা অনেকের গায়ে জালা ধরার কারণ। এসব অপপ্রচার তাদেরই কাজ।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জুলকারনাইন সায়ের ওরফে সামি তারেক রহমানের বিশেষ অফারে হাঙ্গেরি থেকে লন্ডন গিয়েছেন। লন্ডনে তারেক রহমানের অধীনেই তিনি বসবাস করছেন আর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে একের পর এক অপপ্রচার ছড়াচ্ছেন।

মূলত, নির্বাচনে যাওয়া দলগুলোতে ভাঙন ধরাতে বিএনপির পক্ষ থেকে ছড়ানো হচ্ছে এমন গুজব। বিএনপির জায়গাটি এখন দখল করেছে জাতীয় পার্টি। তাই জাতীয় পার্টিকে নিয়ে তারেক রহমানের পেইড এজেন্ট জুলকারনাইন সায়ের ওরফে সামির এমন অপপ্রচার।

আর যে সামিকে মাদকাসক্তির কারণে ক্যাডেট কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিলো। যার বিরুদ্ধে হাঙ্গেরিতে জঙ্গিবাদে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। বাংলাদেশে থাকাকালীন নানা অপরাধে একাধিকবার আটক হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে। চুরি ও প্রতারণার ঘটনায় বাংলাদেশের সব সেনানিবাসে তাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়েছে- এমন একজন মানুষের অপপ্রচারে কান দেওয়ার কোনো মানে হয় না।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours