নিউজ ডেস্ক: ‘সরকারের পদত্যাগের এক দফা’ দাবিতে সমমনা দল ও জোটকে সাথে নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনের ঘোষণা দিয়ে ঢাকাসহ সারাদেশে জেলা ও মহানগরে পদযাত্রা কর্মসূচির চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি। এ কর্মসূচী নিয়ে বিএনপির মধ্যে দলীয় কোন্দল দেখা দিয়েছে। যার কারণে এক দফা আন্দোলনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিলেও তা সফল হবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কায় দলটির হাইকমান্ড। এর আগে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েও কর্মী সংকট ও গতির অভাবে পূর্বে বিভিন্ন আন্দোলনের প্রতিক্রিয়া জানাতে ব্যর্থ হয়েছে দলটি।
এ ধরনের আন্দোলনের ক্ষেত্রে ঢাকা মহানগরকে নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা করা হলেও ১২ জুলাইয়ের সম্মেলনে লোক কম হওয়ায় তাদের কর্মকাণ্ডে অসন্তুষ্ট বিএনপির হাইকমান্ড। তাই ধাপে ধাপে বিক্ষোভ কর্মসূচি দিয়ে কঠোর আন্দোলনের দিকে যেতে চায় দলটি। যদিও দলটির তৃণমূলের অভিমত ভিন্ন। তৃণমূলের নেতারা জানান, এক দফা আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকলেও সিদ্ধান্তহীনতার কারণে সঠিক কর্মপরিকল্পনা দিতে পারেনি শীর্ষ নেতারা। বরং এই ইস্যুতে তৃণমূলকে বিভ্রান্ত করেছে তারা। এমন প্রেক্ষাপটে তারা বলছে, নীতিনির্ধারকরা সহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা আন্দোলন চান কিনা তা নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের একজন নেতা বলেন, চলতি মাসের মাঝামাঝি হয়ে যাওয়া এক দফা আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি নিতে গত মাসেই তৃণমূলে বার্তা দেয়া হয়েছিল। নেতাকর্মীরাও প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু এরপর আর কোনো নির্দেশনা নেই। উল্টো নীতিনির্ধারকদের কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা সুস্পষ্ট করে কোনো কিছু বলেননি। ফলে তৃণমূল থেকেও সম্মেলনে যাবার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করা হয়নি। যার কারণে ১২ জুলাইয়ের ঢাকার সম্মেলনে লোক কম হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতা জানান, অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, সারা দেশে আন্দোলন চাঙ্গা থাকলেও ঢাকা মহানগরের কারণে তা সফল হয়নি। চেয়ারপারসনের মুক্তির দাবিতে গত দুই বছরে যেসব কর্মসূচি দেয়া হয়েছে তাতে ঢাকা মহানগর থানার নেতাদের মাঠে দেখা যায়নি। দশ-বারো জন নেতাকর্মী ব্যানার নিয়ে মিছিল করেছে। সিনিয়র নেতাদের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। সক্রিয়ভাবে মাঠে থাকার জন্য বারবার নির্দেশনা দেয়া হলেও ব্যর্থ হয়েছেন তারা। এখন এক দফার আন্দোলন ঘোষণা করা হলে ঢাকা মহানগরই যদি সক্রিয় না হয়, তা কখনই সফল হবে না। তাই বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবছে বিএনপি।
+ There are no comments
Add yours