মেন্দি সাফাদির স্বীকারোক্তির পর গা বাঁচাতে মরিয়া নুর

1 min read

নিউজ ডেস্ক: ক্ষমতায় আসার নীলনকশা বাস্তবায়নে গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর চলতি বছরের শুরুতে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্ট ও লিকুদ পার্টির নেতা মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেসময় সেখানে মেন্দির সঙ্গে নুরের ৪০০ কোটি টাকার অর্থনৈতিক লেনদেনও হয়। সাক্ষাৎ শেষে তার সঙ্গে ছবি তুলেন নুর। তবে গা বাঁচাতে সেই ছবিকে ‘এডিটেড’ বলে প্রচার করলেও শেষ পর্যন্ত বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করেছিলেন ভিপি নুর।

পরবর্তীতে সাক্ষাৎ, অর্থনৈতিক লেনদেনের বিষয়টি নিয়ে হম্বিতম্বি করে একটি ভিডিও প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে, তো কি হয়েছে? সেটা নিয়ে প্রশ্ন করার আপনি কে?’

এর মাস ছয়েক বাদে গেলো জুনে অর্থনৈতিক অস্বচ্ছতার কারণে রেজা-নুর দ্বন্দ্ব দেখা দেয় গণঅধিকার পরিষদে। ফলে ভেঙে পড়ে দলের সাংগঠনিক কাঠামো। পাল্টাপাল্টি অভিযোগ আর বহিষ্কার রাজনীতিতে মেন্দি এন সাফাদি ইস্যু পুনরায় সামনে এলে গা বাঁচাতে ফের বেঁকে বসেন ভিপি নুর।

তবে ইসরাইলের সেই মেন্দি এন সাফাদি নুরের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

এ ব্যাপারে এক প্রতিবেদনে সাফাদির সঙ্গে নুরের সাক্ষাতের বিষয়টি সত্য বলে উল্লেখ করেছে দৈনিক প্রথম আলো। পত্রিকাটি জানায়, মেন্দি এন সাফাদি গত ২৬ জুন এক খুদেবার্তায় নুরের সঙ্গে তার সাক্ষাতের স্বীকারোক্তি দেন।

তবে এবার যখন ধরা নিশ্চিত তখন বরাবরের মতো নুরুল হক নুর মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে সাক্ষাৎ ও ইসরায়েল সম্পৃক্ততাকে আবারও অস্বীকার করেছেন। তার ভাষ্য মেন্দির স্বীকারোক্তিই যথেষ্ট নয়। দরকার প্রমাণপত্র। কিন্তু কথা হচ্ছে যার সঙ্গে নুরের সাক্ষাৎ হয়েছে সেই ব্যক্তিই যখন গণমাধ্যমে অকপটে স্বীকার করে বসলেন তখন আর কি কোনো প্রমাণ বাকি থাকে?

এব্যাপারে রাজনৈতিক বিশ্লেষক বিভুরঞ্জন সরকার বলেন, এই দেশের মানুষ মোসাদের সাথে আতাত করে রাজনীতি করা কোনো রাজনৈতিক সংগঠন বা নেতৃত্ব কে মেনে নিবে না, ঘৃণার সাথে প্রত্যাখ্যান করবে। রেজা-নুর দ্বন্দ্বে মোসাদ ও ইসরায়েল সম্পৃক্ততা প্রমাণের বাকি কিছু নেই। পুরোটাই এখন তথ্যপ্রমাণসহ প্রমাণিত। এবার দেখা যাক পল্টিবাজ নুর নতুন কি কি পল্টিবাজি নিয়ে হাজির হয়ে দলের নামে তার চাঁদাবাজি আর অপরাজনীতি চালিয়ে যান।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours