গাসিক নির্বাচন: ভোটার উপস্থিতি নিয়ে আশাবাদী নৌকার আজমত

1 min read

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের আসন্ন নির্বাচন ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক’ হবে এবং তাতে ভোটার উপস্থিতিও ‘আশানুরূপ’ থাকবে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খান।

ভোটের প্রচারের শেষ দিন মঙ্গলবার সাংবাদিকদের প্রশ্নে ক্ষমতাসীন দলের এই প্রার্থী বলেন, “নির্বাচন অবশ্যই প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে।

“এবং আপনারা লক্ষ্য করছেন যে, নির্বাচনে মানুষ তাদের মনের মতো প্রার্থীকে বেছে নেওয়ার জন্য তারা উৎসুক হয়ে আছে এবং ভোটার উপস্থিতি অবশ্যই আশানুরূপ হবে।”

ঢাকার লাগোয়া এ সিটি করপোরেশনের নতুন জনপ্রতিনিধি বেছে নিতে বৃহস্পতিবার ভোট দেবেন পৌনে ১২ লাখের বেশি ভোটার। নগরীর ৫৭টি ওয়ার্ডের ৪৮০টি কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ইভিএমে ভোটগ্রহণ হবে।

আজমত উল্লা খানসহ পাঁচ রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের পাশাপাশি ভোটের মাঠে আছেন আরও তিন স্বতন্ত্র প্রার্থী। তাদের সঙ্গে ৫৭টি ওয়ার্ডে ২৪৬ জন কাউন্সিলর প্রার্থী এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৭৯ নারী প্রার্থী প্রতিদ্বিন্দ্বিতায় রয়েছেন।

বিএনপির ভোট বর্জনের মধ্যে দলটির কর্মী সরকার শাহনূর ইসলাম (রনি সরকার) স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন, প্রতীক পেয়েছেন হাতি।

অন্যদিকে, টেবিল ঘড়ি প্রতীকে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হিসাবে রয়েছেন ২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকেটে মেয়র নির্বাচিত জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন।

নৌকা প্রতীকে লড়ার জন্য মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন জাহাঙ্গীর। কিন্তু ঋণখেলাপি প্রতিষ্ঠানের জামিনদার হওয়ার অভিযোগে তা আটকে গেলে এখন মাকে জেতাতে তৎপর তিনি।

মেয়র পদে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় আওয়ামী লীগ থেকে দ্বিতীয়বারের মতো বহিষ্কৃত হয়েছেন জাহাঙ্গীর; মায়ের নির্বাচনী প্রচারে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের হামলা ও বাধার অভিযোগ করে আসছেন তিনি।

গাজীপুর সিটি বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শেষ দিনের প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে সমর্থন চাইছেন তারা। জমজমাট মাইকিংয়ের মধ্যে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ছেয়ে গেছে নির্বাচনী পোস্টার আর ব্যানারে।

এদিন সকালে টঙ্গী বাজার এলাকায় নিজ বাড়িতে নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন নৌকার প্রার্থী আজমত উল্লা খান।

মধ্যরাত পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক প্রচারের সময় থাকলেও এদিন মেয়র প্রার্থীর জনসংযোগে যাওয়ার পরিকল্পনা না থাকার কথা জানান আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ’ হওয়ার বিষয়টি প্রমাণের জন্য এই নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসাবে নেওয়ার কথা সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন আজমত উল্লা।

তিনি বলেন, “নির্বাচনই একটা চ্যালেঞ্জ। আমরা যে নির্বাচনটাকে চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিয়েছি যে, নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে এবং বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, এই জিনিসটি প্রমাণিত হবে আগামী পরশু দিনের নির্বাচনে। এটাই হচ্ছে চ্যালেঞ্জ।”

ভোটারদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পাওয়ার কথা জানিয়ে আজমত উল্লা খান বলেন, “আশাব্যঞ্জক সাড়া আমরা পাচ্ছি।

“আমরা আশা করি যে, আগামী পরশু দিন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে, সেই নির্বাচনে মানুষের দীর্ঘদিনের যে আশা আকাঙ্ক্ষা, সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য তারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাকে জয়যুক্ত করবে।”

তিনি বলেন, “নির্বাচনের মাঠে যে অবস্থা বিরাজমান, মানুষ যেভাবে সাড়া দিচ্ছে, যেভাবে তাদের অভিব্যক্তি ব্যক্ত করছে, সুতরাং ইনশা আল্লাহ, জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী।”

ভোটের মাঠে ক্ষমতাসীন দল ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধা পাওয়ার কথা বলে আসছেন আজমত উল্লা খানের দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী জায়েদা ও রনি সরকার। এজেন্টদেরকে হুমকি-ধামকির অভিযোগও করছেন তারা।

এজেন্টদের হয়রানির অভিযোগের বিষয়ে এক প্রশ্নে আজমত বলেন, “হয়রানির কোনো ডকুমেন্ট আছে? বললে তো হবে না। বিভিন্নভাবে বিভিন্ন জন কথা বলবে।

“কোনো এজেন্ট দেওয়ার পরে… এটা পরে বলতে পারে যে, আমাদের এজেন্ট আমরা দিতে পারি নাই। (এজেন্ট) দিতে পারবে কি-না, সেটাতো তাদের জনসমর্থনের উপর নির্ভর করে। এজেন্টদের কোথায় হয়রানিটা করা হচ্ছে? আমার পক্ষ থেকে, আমার দলের পক্ষ থেকে কাউকে কোনো হয়রানি করা হয় নাই এবং এটা হবেও না।“

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours