৪৭ বছর পর খুনি জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা : পাপ বাপকেও ছাড়ে না!

1 min read

নিউজ ডেস্ক: কথায় বলে, পাপ বাপকেও ছাড়ে না। এর প্রমাণ ইতোমধ্যেই পেয়েছেন বিএনপির বর্তমান চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তার বড় ছেলে লন্ডনে পলাতক দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। নিজের অতীত কর্মের জন্য এবার স্ত্রী-পুত্রের পর দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানও দাঁড়াচ্ছেন বিচারিক কাঠগড়ায়।

তথ্যসূত্রে জানা যায়, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর জাতীয় সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে গুলি চালিয়ে শহীদ কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা বীর বিক্রমকে হত্যা করা হয়। হত্যার ৪৭ বছর পর রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় জিয়াকে হুকুমের আসামী করে মামলা করেছেন তার মেয়ে সংসদ সদস্য নাহিদ ইজাহার খান।

বৃহস্পতিবার (১১ মে) মামলাটি দায়ের করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া।

দায়েরকৃত মামলায় মেজর (অব.) আবদুল জলিলকে প্রধান আসামি ও তৎকালীন স্বৈরাচারী সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান এবং জাসদ নেতা লে. কর্নেল আবু তাহেরকে (অব.) হুকুমের আসামি করা হয়েছে।

ওসি উৎপল বড়ুয়া জানান, মেজর (অব.) জলিল, জিয়াউর রহমানসহ অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। ঘটনায় কার কী ভূমিকা ও সম্পৃক্ততা ছিল, তদন্তে সবই বেরিয়ে আসবে। তদন্ত শেষ করে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে। আদালত সে অনুযায়ী বিচারিক আদেশ দেবেন।

এ ঘটনায় শহীদ কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদার মেয়ে নাহিদ ইজাহার খান বলেন, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর জাতীয় সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে আমার বাবা নাজমুল হুদার সঙ্গে দুই সেক্টর কমান্ডার শহীদ মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ টি এম হায়দার বীর উত্তমকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। মেজর (অব.) আবদুল জলিল ও তৎকালীন স্বৈরাচারী সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান এবং জাসদ নেতা লে. কর্নেল আবু তাহেরের প্রত্যক্ষ নির্দেশে তার পদাঙ্ক অনুসরণ করা সৈনিকেরা সংঘবদ্ধভাবে ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ড ঘটান। সেজন্য আমি আমার পিতার হত্যার বিচার চেয়ে মামলা দায়ের করেছি। আমি আমার পিতার হত্যার বিচার দাবি করছি।

মেজর জিয়া, মেজর আবদুল জলিল ও কর্নেল আবু তাহেরের অপরাধ তৎকালীন সময়ে বর্বরতার সব সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিলো উল্লেখ করে রাজনৈতিক বিশ্লেষক বিভূরঞ্জন সরকার বলেন, নিজেদের ক্ষমতা দেখাতে ও সর্বেসর্বা প্রমাণ করতে স্বৈরাচারী এই দুই সেনা কর্মকর্তা এমন কিছু নেই যা করেননি। তাদের মতের বিরুদ্ধাচরণকারী সেনা সদস্য থেকে শুরু করে অগণিত সাধারণ জনগণকে হত্যা করে তারা। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক দেশ হওয়ার সুবাদে এই আসামিদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে শাস্তি কার্যকরের দাবি এখন সময়ের দাবি।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours