নিউজ ডেস্ক: জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনে অনিয়ম, বিশৃঙ্খলা ও অসাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগ ওঠেছে। অভিযোগ ওঠেছে ২১৩ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির ৫০ এর অধিক শীর্ষস্থানীয় পদ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেয়ার।
গত ২০ এপ্রিল অনুমোদন দেয়া স্বেচ্ছাসেবক দলের ওই পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ঠাঁই হয়নি আগের কমিটির অনেকেরই। পদ ধরে রাখতে কিংবা দলের শীর্ষস্থানীয় পদ পেতে অনেকেই বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের মাধ্যমে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মোটা অঙ্কের মাসহারা দিয়েছেন। টাকার বিনিময়েও সংগঠনে পদ না পেয়ে তাই ক্ষুব্ধ হয়েছেন অনেকেই।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে পদবঞ্চিত ক্ষুব্ধ এসব নেতারা ঈদের পর কয়েক দফা বৈঠক করে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে প্রতিবাদী স্মারকলিপি দিয়েছেন।
কেন পদ পাওয়া যায়নি এমন প্রশ্নের তদন্ত করতে গিয়ে বিএনপির একাধিক নেতা নিশ্চিত হয়েছেন, তারেক রহমানকে যে টাকা পাঠানোর কথা ছিলো সে টাকা কমিটি হওয়ার আগে না পাঠানোয় বেশ ক্ষুব্ধ হন তারেক। মূলত পদ পেতে ৫০ এর অধিক পদপ্রার্থীর প্রত্যেকেই পদের রেট ভেদে মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে মোটা অঙ্কের চাঁদা পাঠান। পরিমাণটাও কম নয়। ৯৫ কোটি টাকা বা সাড়ে ৮৮ লাখ মার্কিন ডলার। আর সেই টাকা ফখরুলকেই তারেক রহমানকে পাঠানোর কথা ছিলো।
কিন্তু বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বিষয়টি জেনে যাওয়ায় মির্জা ফখরুলকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তারেককে টাকা পাঠাতে নিষেধ করেন। টাকা পাঠালে পদ হারাতে পারেন, এমন হুমকির কারণে মুখ বন্ধ করে ফেলেন ফখরুল। ফলে টাকা না পাওয়ায় পদবঞ্ছিত ওই নেতাকর্মীরাই মূলত এখন ক্ষোভ ঝাড়ছেন ফখরুলের ওপর।
পদবঞ্চিতদের অভিযোগ, ঈদুল ফিতরের সময় সবাই যখন ব্যস্ত তখন কৌশলে স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি দেয়া হয়েছে। গত কমিটির পাঁচ ভাগের চারভাগ নেতৃবৃন্দকে বাদ দিয়েছেন এবং এই পদবঞ্চিত নেতৃবৃন্দের বেশিরভাগই রাজপথের সক্রিয় ভূমিকা পালনকারী, অসংখ্য মামলা হামলার শিকার ও সাবেক ছাত্রনেতা। অন্যদিকে নতুন কমিটিতে যাদের গুরুত্বপূর্ণ পদসহ বিভিন্ন পদে পদায়ন করা হয়েছে তাদের বেশিরভাগই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অনিয়মিত ও পূর্বের রাজনৈতিক জীবন বৃত্তান্ত দুর্বল।
তারা আরো অভিযোগ করেন, যাদের পদ দেয়া হয়েছে তারা স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, সিনিয়র সহ-সভাপতি ইয়াসিন আলী এবং সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসানের অনুসারী।
+ There are no comments
Add yours