রাজনৈতিক মাঠে খালেদার শত্রু যখন তারেক

1 min read

নিউজ ডেস্ক: একে-অপরকে দুষলেও আসলে কার জন্য দিনদিন অধঃপতন হচ্ছে বিএনপির, তা নিয়ে দেশের বিশিষ্টজনরা একটি বিশ্লেষণ করেছেন। তাদের মতে, খালেদা-তারেক কেউই কারও থেকে কম যান না। কারণ, ক্ষমতায় থাকাকালে কিংবা বর্তমানে তারা কেবল তাদের নিজস্ব বলয় ও আখের নিয়েই ভেবেছেন। ভাবেননি জনগণের কথা। সে কারণেই মূলত তাদের জনবিচ্ছিন্ন। তাছাড়া তাদের শাসনামলে দুর্নীতিতে দেশের হ্যাট্রিক চ্যাম্পিয়নের ঘটনাকেও সাধারণ জনতা ‘দোষের চোখে’ই দেখেন। কারণ, এতে লাল-সবুজের দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল নয়, বরং বহির্বিশ্বে ক্ষুণ্ণ হয়েছে সুনাম। আর এর জন্য অদ্বিতীয়ভাবেই খালেদা-তারেক দায়ী।

নির্ভরযোগ্য সূত্রের তথ্যমতে, মাঠের রাজনীতিতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে বিএনপি। পরিণত হয়েছে ফাঁকা আওয়াজ বা বুলি সর্বস্ব রাজনৈতিক দলেও। যাদের কাজই হচ্ছে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সরকারের মিথ্যা সমালোচনা করা। কিন্তু দলীয় নেতাকর্মী ও জনগণ ইতোমধ্যে বিএনপি নেতৃবৃন্দের এই ‘চালাকি’ বুঝে গেছে। এ কারণে দলীয় নেতাকর্মীদের অধিকাংশই এখন আর সভা-সমাবেশ কিংবা মিছিল-মিটিংয়ে আসেন না। আর এলেও ব্যস্ত থাকেন সেলফিবাজি কিংবা গল্পগুজবে। সিনিয়র নেতারাও নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড থেকে। তারা জেনে গেছেন, এভাবে আর সম্ভব না। একইভাবে, সাধারণ জনগণ ও সমর্থকরাও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন বিএনপি থেকে।

সমর্থকদের ভাষ্য, দল করলে কি পেটে ভাত যাবে? নেতারা কেবল মিছিল-মিটিংয়ের সময়ই খোঁজ নেন। বছরের বাকি ক’টা দিন কিভাবে কাটছে, খেয়ে আছি নাকি না খেয়ে আছি, তা কি কখনই খোঁজ নিয়েছেন তারা? তাছাড়া কাদের জন্য কিংবা কার জন্য রাজনীতি করবো? খালেদা আর তারেক দু’জন তো দু’পথে হাঁটেন, দু’মেরুর মানুষ তারা। যতদিন না তারা এক হচ্ছেন, ততদিন বিএনপির রাজনীতি করে লাভ নেই। কারণ, তাদের মা-ছেলের দ্বন্দ্বের কারণেই দলের বহু সিদ্ধান্ত ঝুলে থাকে। ঝুলে আছে। তাই কথা একটাই, হয় তারা ঠিক হোক। নাহলে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি করা হোক। তবে যদি গতি ফেরে দলে।

এ ব্যাপারে বাংলা নিউজ ব্যাংকের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় বিএনপির একাধিক জ্যেষ্ঠ নেতার সঙ্গে। তারা এই প্রতিবেদককে বলেন, ভূত যদি সরিষাতেই থাকে, তবে আপনি তাড়াবেন কিভাবে? আগে ঘর ঠিক করতে হবে, তবেই না পর ঠিক করতে উদ্যোগী হতে পারবেন। এর আগে নয়। দলের এমতাবস্থায় উচিত, খালেদা ও তারেক উভয়কে নমনীয় হয়ে ‘ইগো’ বিসর্জন দেয়া। নতুবা রাজনৈতিক দল হিসেবে অচিরেই অস্তিত্ব হারাবে বিএনপি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, একে-অপরকে দোষারোপ আর কতদিন চলবেন খালেদা-তারেক? তাদের ব্যক্তিগত ‘ইগো’র কারণে দল যে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, সেটা কি তারা বোঝেন না? নাকি তারা মানতেই রাজি না, একজন জিতলেই জিতে যায় বিএনপি! তাদের এই দ্বন্দ্বই বলে দিচ্ছে, অনাগত দিনে বিএনপি পরিণত হবে জাদুঘরের রাজনৈতিক দলে। লোকে বলবে, বিএনপি নামেও একটি দল ছিল। যারা নিজেদের ভুল ও ইগোর কারণে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে। সেদিন আর দূরে নয়, অতি সন্নিকটেই।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours