‘ঈদের আগে না পরে’ এই নিয়ে বিএনপিতে বিভক্তি

1 min read

নিউজ ডেস্ক : ‌‘ঈদের পর বিএনপির আন্দোলন’ দেশবাসীর কাছে তামাশায় রূপান্তর হয়েছে অনেক আগেই। এবার আন্দোলন নিয়ে দলটির কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যেই দেখা দিয়েছে বিরোধ। সরকার উৎখাতের জন্য নতুন করে রোডমার্চের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে বিএনপি ও দলটির সঙ্গে যুগপৎ কর্মসূচিতে থাকা বিরোধী দলগুলো। তবে রোডমার্চের ধরন নিয়ে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের মধ্যে দুটি অংশ সৃষ্টি হয়েছে। বড় অংশটি চাইছে, আগামী কোরবানির ঈদের পর আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে নিতে। এদিকে তুলনামূলক ছোট কিন্তু প্রভাবশালী অংশটি মনে করছে- ঈদুল আজহার আগেই সরকার উৎখাতের আন্দোলন চূড়ায় নেওয়া দরকার।

গত কয়েক দিনে বিএনপির স্থায়ী কমিটি, সিনিয়র একাধিক নেতা ও বিরোধী দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে এ বিষয়টি জানা গেছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য ও যুগপতে যুক্ত বিরোধী দলগুলোর নেতারা জানান, সরকার পতনের লক্ষ্যে চূড়ান্ত কর্মসূচি নির্ধারণ প্রায় চূড়ান্ত করা হয়েছে। চলতি মাসের শেষ দিকে রোডমার্চ পালন করবে বিরোধী দলগুলো। এক্ষেত্রে ঢাকা থেকে অন্যান্য বিভাগে রোডমার্চ করবে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো। জুনের শেষ দিকে চূড়ান্ত রোডমার্চ ঢাকামুখী করার পরিকল্পনা রয়েছে নেতাদের।

জানা গেছে, এই রোডমার্চ কর্মসূচি নিয়ে ব্যাপক সহিংসতার পরিকল্পনার রয়েছে দলটির। ঈদুল আজহার পর কর্মসূচিতে গেলে সেটা হবে আগস্ট মাস। শোকের মাসে রাজনৈতিকভাবে আওয়ামী লীগ সুবিধা পেলে আন্দোলন থমকে যাবে। এজন্য গণতন্ত্র মঞ্চসহ বিএনপির ভেতরের প্রভাবশালী একটি অংশ চেয়েছিল- মে ও জুনের মধ্যে সহিংস কর্মসূচির মাধ্যমে ফলাফল ঘরে তুলতে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপির সরকার পতনের আন্দোলনের ঘোষণা এখন জনগণের কাছে তামাশার উক্তি হয়ে গেছে। বন্যার পর আন্দোলন, ঈদের পর আন্দোলন এসব এখন রীতিমতো কমেডি। বিএনপি নিজেও জানে এটা শুনে এখন মানুষ হাসে। কিন্তু তাদের কিছুই করার নেই। অতীত কর্মকাণ্ড আর নেতৃত্ব সংকটে জনবিচ্ছিন্ন বিএনপি এখন রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours