নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ঠেকাতে দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে ছোটাছুটি করছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন লবিস্ট নিয়োগের পাশাপাশি রেখেছে একাধিক পেইড এজেন্ট এবং গঠন করেছে গুজব সেল। উন্নয়ন ও সরকারবিরোধী বিভিন্ন বিতর্কিত তথ্য প্রচার করাই ছিল তাদের কাজ। সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রীর জাপান-যুক্তরাষ্ট্র-ব্রিটেন সফর ঘিরেও অপতৎপরতা সৃষ্টি করেছিল ওই চক্র। কিন্তু তাদের সকল অপচেষ্টা বৃথা গেছে।
এজেন্টদের বারবার দেশবিরোধী চক্রান্তের পরও ঠিকই মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসাও করছেন বিশ্ব নেতারা। নতুন নতুন চুক্তি হচ্ছে, আসছে ঋণের অনুমোদন। সম্প্রতি জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে প্রশংসিত হয়েছেন, তা দেখে রীতিমত ভড়কে গেছেন বিএনপি-জামায়াতের নেতারা। সেই সঙ্গে গুজব সেলের ব্যর্থতার ষোলোকলা পূর্ণ হয়েছে।
জানা গেছে, গুজব সেল, পেইড এজেন্ট আর লবিস্ট নিয়োগে কোটি কোটি টাকা খরচ হয়েছে বিএনপির। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। জাপান সফর ও যুক্তরাষ্ট্র সফর বিতর্কিত করতে কনক সারোয়ার, মেজর (অব.) দেলোয়ার, কর্নেল শহিদ, পিনাকী ভট্টাচার্য ও সাংবাদিক নামধারী ইলিয়াস হোসেনকে প্রায় ১০ কোটি টাকা দেন বিএনপির পলাতক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তারা বিভিন্ন গুজব প্রচারও করেছিল। কিন্তু তা জনগণ ধরে ফেলায় কোনো প্রভাব পড়েনি।
শুধু লবিস্ট, এজেন্ট বা পেইড সেলে নয়, প্রধানমন্ত্রীর সফরের এলাকায় বিশৃঙ্খলার জন্যে প্লেকার্ড হাতে ধরিয়ে দিতে কিছু প্রবাসীও ভাড়া করে লবিস্টরা। তারেকের টাকায় তারা রাস্তায় দাঁড়িয়ে বিতর্কিত স্লোগান দিতে গিয়ে পুলিশের কাছে দৌঁড়ানি খেয়ে পালিয়ে যায়। সব মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বিদেশ সফর নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করতে বিএনপি শত কোটি টাকা খরচ করেও কোনো ফায়দা পায়নি।
কিন্তু ঠিকই পকেট ভারী হয়েছে বিদেশে পলাতক সাংবাদিক নামধারী কনক সারোয়ার, পিনাকী ভট্টাচার্য, ইলিয়াস হোসেনদের। সেই সঙ্গে আলোচনায় ঘি ঢালার কথা বলে টাকা নিয়ে চুপসে গেছেন মেজর (অব.) দেলোয়ার, কর্নেল শহিদ উদ্দীন খানের মতো বিতর্কিত, বহিষ্কৃত ও পলাতক কিছু অফিসার।
এদিকে কয়েক বছর ধরে বিনিয়োগ করা বিএনপির সকল অপচেষ্টা বৃথা গেছে প্রধানমন্ত্রী সফর সফল করায়। তিনি জাপানে পেয়েছেন রাজকীয় সংবর্ধনা, বিশ্বব্যাংক তাকে কুর্নিশ করেছে, নতুন ঋণ দিয়েছে, উন্নয়ন ও মেগা প্রজেক্টের উদ্যোগ নেওয়ার সাহস দেখে স্তম্ভিত হয়েছে। এসব অর্জন দেখে বিএনপি এখন কাঁদতে কাঁদতে গড়াগড়ি খাবে কীনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
+ There are no comments
Add yours