যেভাবে দেশে-বিদেশে নারী সাপ্লাইয়ার হয়ে উঠলেন কনক সারোয়ার

1 min read

নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে আছেন সাংবাদিক নামধারী বাংলাদেশি কনক সারোয়ার। তিনি কেন যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নিয়েছেন সেটা অনেকেই জানেন না। বাংলাদেশের সাংবাদিকতার ইতিহাসে সবচেয়ে নিকৃষ্ট ব্যক্তিদের একজন কনক সারোয়ার। সাংবাদিকতাকে পুঁজি করে বহু নারীর সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলে নেমেছিলেন ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডে। বর্তমানে দেশে-বিদেশে নারী সাপ্লাইয়ের কাজ করেন এই কনক সারোয়ার।

জানা যায়, বিভিন্ন নারীর গোপন ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। ২০১৫ সালে একুশে টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক থাকাকালীন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ মামলায় গ্রেফতার করে। ৯ মাস জেলও খেটেছেন তিনি। ফেসবুক-ইউটিউবে বিভিন্ন কন্টেন্ট তৈরির নামে বাংলাদেশ, উন্নয়ন ও মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে বিভ্রান্ত ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

জামিনে মুক্তি পেয়ে দেশ থেকে পালিয়ে আশ্রয় নেন যুক্তরাষ্ট্রে। এরপর শুরু করেন নতুন ব্যবসা। দেশে থাকাকালীন যেসব নারীদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলেছিলেন, তাদেরকে উচ্চাভিলাষী জীবনের স্বপ্ন দেখিয়ে আমেরিকায় নেওয়ার আশা দিয়েই নারী সাপ্লাইয়ের উপায় বের করেন তিনি।

ভুক্তভোগী কয়েক নারীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে- আমেরিকায় নেওয়ার কথা বলে একই নারীকে একাধিক মানুষের কাছে পাঠান। দেশের মধ্যে এখানে-ওখানে কাগজ-পত্র যাওয়ার কথা বলে যাদের কাছে পাঠান তারাই ওই সব নারীদের সর্বনাশ করে। আর এর জন্যে টাকা পান কনক। ওই সব নারীদের অনেকের ভিডিও-ছবি কনকের কাছে থাকায় তারাও বাধ্য হন।

এখানেই শেষ নয়, দেশের ভেতরে বিভিন্ন পুরুষের কাছে পাঠানো নারীদের বিদেশেও নেন তিনি। তবে আমেরিকায় নিতে না পারলেও মধ্যপ্রাচ্য, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিয়ে নেন। তাদেরকে বিভিন্ন বারে ও নাইটক্লাবে চাকরি দেন। সেখান থেকেও কমিশন পান কনক সারোয়ার।

এ বিষয়ে কনক সারোয়ারের বোন নুসরাত শাহরিন রাকা বলেন, কিশোর বয়স থেকেই কনকের একটু মেয়েঘেষা স্বভাব ছিল। বখাটেপনার কারণে অনেকবার বাড়িতে বিচারও হয়েছে। এখনো তার সেই স্বভাব যায়নি। আমেরিকায় পালিয়ে যাওয়ার পর বাড়ি থেকে ওর সাথে যোগাযোগ বন্ধ করা হয়েছে। ওর ইনকাম আমরা কেউ খায় না।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours