নিউজ ডেস্ক: ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০০১ সাল থেকে ২০০৫ সাল টানা পাঁচ বছর দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন ছিল বাংলাদেশ। এই লজ্জার ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশের ক্ষমতায় আর আসতে পারেনি তৎকালীন ক্ষমতাসীন বিএনপি। তাদের এই লজ্জার অর্জনে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ব্যাপকভাবে ক্ষুণ্ণ হয়েছিল। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকে আর এই লজ্জায় পড়তে হয়নি বাংলাদেশকে।
জানা যায়, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে পাল্টে গেছে সুশাসনের চিত্র। ধীরে ধীরে কমতে থাকে দুর্নীতির সূচক। এমনকি বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থান অনেক সন্তোষজনক অবস্থানে। বিশ্ব রাজনীতিতে বাংলাদেশের এখন দাপুটে অবস্থাও তৈরি হয়েছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বেড়েছে সুসম্পর্ক। যার ফলে প্রবাসী আয় ও রফতানি আয়ে এসেছে বিশাল সুবাতাস।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশে দুর্নীতি কমেছে। এর কারণ হিসেবে রয়েছে, সরকারের জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষ অবস্থান। সেই সঙ্গে দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের ভূমিকাও ব্যাপকভাবে চোখে পড়ার মতো। এসব কারণে দীর্ঘ ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকেও দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়া মতো বিড়ম্বনায় পড়তে হয়নি আওয়ামী লীগকে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থনীতিবিদ ফরাসউদ্দীন বলেন, দুর্নীতি আগে অনেক ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে অনেক ক্ষেত্রে দুর্নীতি কমে এসেছে। সরকারের সুশাসন নিশ্চিত হওয়ায় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতি হয়েছে। আর এ কারণে এ সরকারের প্রতি জনগণের আস্থাও বেড়েছে।
বিএনপি কেন ক্ষমতায় থাকতে স্বচ্ছ থাকতে পারেনি এই প্রশ্ন করা হলে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আসলে দলের যে অবস্থা আর কমিশন খাওয়ার যে প্রবণতা ছিল তাতে সুশাসন সম্ভব হয়নি। সর্বত্রই কমিশন প্রদানের বিষয়টি একেবারে লেজে-গোবরে করে দিয়েছিল সরকারের বিভিন্ন পদের কিছু ব্যক্তি। যার প্রভাব পড়েছিল ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) প্রতিবেদনে। তবে আগামীতে ক্ষমতায় গেলে আমরা সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সর্বোচ্চ সচেষ্ট থাকবো।
+ There are no comments
Add yours