পুলিশের কাজে বাধা দানের মামলায় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের শীর্ষ ১৪ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
নির্ধারিত তারিখ সম্প্রতি আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শাহরিয়াজ পারভেজ জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আসামিদের আদালত চত্বর থেকে কারাগারে নেওয়ার জন্য পুলিশ ভ্যানে তোলার সময় তারা বিক্ষোভ করেন।
কারাগারে পাঠানো নেতাকর্মীরা হলেন সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এজাজ হাসান, নলছিটি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সেলিম গাজী, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক শামীম তালুকদার, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রবিউল হোসেন তুহিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম লিটন, সাধারণ সম্পাদক সাফায়াত হোসেন সরদার, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আরিফুর রহমান খান, সাধারণ সম্পাদক গিয়াস সরদার দিপু, জেলা তাঁতী দল সভাপতি বাচ্চু হাসান খান, যুবদল নেতা চন্দন পোদ্দার, জাহিদুল ইসলাম হাওলাদার, ইয়াসির আরাফাত মিঠু, আতিকুর রহমান খালেক ও সাদ্দাম হোসেন।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান মুবিন জানান, ২৫ মার্চ জেলা বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। কর্মসূচিতে লাঠিচার্জ করায় উত্তেজিত হয়ে নেতাকর্মীরাও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। এরপর ঘটনাস্থল থেকে ১৬ জনকে আটক করে পুলিশ। ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে আটক ১৬ নেতাকর্মীসহ প্রায় ২০০ জনের নামে মামলা করেন ঝালকাঠি সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দেবাশীষ মোদক। আটক আসামিরা ঝালকাঠির আদালত থেকে এবং এজাহারভুক্তরা উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের অগ্রিম জামিন আনেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হলে মঙ্গলবার ধার্য তারিখে হাজিরা দিতে গেলে জেলে পাঠানো হয় তাদের।
+ There are no comments
Add yours