পাঁচ বছরেও খালেদার জন্য যা করলো না বিএনপি

1 min read

নিউজ ডেস্ক: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ২০১৮ সালে কারাগারে যাওয়ার সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা বলেছিল- ‘আমার নেত্রী আমার মা, বন্দী হতে দেব না’। এরপর বেগম জিয়া কারাগারে চলে গেলে বিভিন্ন সময়ে দলটির নেতা-কর্মীদের স্লোগান দিয়েছে যে, জেলের তালা ভেঙে নেত্রীকে মুক্ত করবে। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সেইসব স্লোগান মিথ্যাচার বলে প্রতীয়মান হয়েছে। নেত্রীর মুক্তির আন্দোলন নিয়ে কথা রাখতে পারেনি দলটির হাইকমান্ডও। সে সময়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ খালেদা জিয়ার পক্ষে দাঁড়িয়ে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। যার কারণে আজ অবদি তিনি মুক্ত আছেন। যদিও এই মুক্তিতে খুশি নয় বিএনপির একাংশ। তারা চাচ্ছেন খালেদা জিয়ার পূর্ণাঙ্গ মুক্তি। যদিও অন্য পক্ষ বলছে, যা চলছে, যেমন চলছে চলুক।

এ কারণে বিএনপি নেতা-কর্মীরা তার মুক্তির আন্দোলন নিয়ে দ্বিধান্বিত হয়ে পড়েছে। যার কারণে বেগম জিয়ার মুক্তি আন্দোলন নিয়ে দেয়া ওয়াদাও ভুলে গেছেন দলটির নেতৃবৃন্দ, এমনটাই মনে করছেন রাজনীতি সচেতনরা।

একটি দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, গুলশানের ভাড়া বাসায় বেগম জিয়া রাজকীয় সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন এবং তার বয়সের অনুপাতে দলীয় রাজনীতিতে নতুন কিছু দেয়ার সক্ষমতা আর নেই- সে বিবেচনায় সম্ভবত দলটির নেতাকর্মীরা বেগম জিয়ার মুক্তি নিয়ে ততটা সিরিয়াস নয়। পাশাপাশি দল গোছানোর বিষয়ে বিএনপির হাইকমান্ডও তাদের কথা রাখেননি। পাঁচ বছর পার হয়ে গেল, সবাই যার যার কাজকর্ম নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। বেগম জিয়া সম্ভবত বুঝতে পেরেছেন, তার মুক্তির আন্দোলন জমানোর সক্ষমতা ও সাংগঠনিক অবস্থা নেই দলটির। যার কারণে নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসতে বাধ্য হচ্ছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। নেত্রীকে দেয়া কথা রাখতে পারছেন না তারা।

তবে ভিন্ন একটি সূত্র বলছে, বিএনপির নেতা-কর্মীরা বুঝতে পেরেছেন যে, বেগম জিয়ার মুক্তির দৌড়ঝাঁপ ‘ন্যায়যুদ্ধ’ নয়। যার কারণে তাদের পাশে জনগণকে পাওয়া যাচ্ছে না, অথবা নীতি-নির্ধারকদের ভুলে বিএনপি নেত্রীকে আটকা থাকতে হচ্ছে। কোথাও একটা বড় ভুল হচ্ছে, আর সেই ভুলের সমাধান বিএনপির জানা নেই। যার কারণে তারা কথা দিয়ে কথা রাখতে পারছে না

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours