কেমন চলছে তারেকের দ্বিতীয় হাওয়া ভাবন

1 min read

নিউজ ডেস্ক: দেশের রাজনীতিতে অবস্থান হারিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। দীর্ঘদিন থেকেই লন্ডনে বিএনপির অফিস খুলে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন দলটির পলাতক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এনিয়ে দেশে ও দেশের বাইরে নানারকম সমালোচনা থাকলেও তা আবার নতুন করে সামনে এসেছে। লন্ডন বিএনপি অফিসকে ‘দ্বিতীয় হাওয়া ভবন’ বলে অভিহিত করেছেন অনেকে।

বিএনপির দলীয় কর্মীরাই বলছেন, লন্ডনে বিকল্প হাওয়া ভবনে দলের রিমোট কন্ট্রোল থাকলে নেতাকর্মীরা রাজপথে যাবে কেন? নাম পরিচয়বিহীন লোকরা দলে এসেই কেন্দ্রীয় কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সম্পাদকীয় পদ পেলে তারেক রহমানের উপদেষ্টা হয়ে শান্তিপূর্ণ দেশে বসে খবরদারি করতে পারলে, নিজেদের ভবিষ্যৎ মন্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিতে পারলে অহেতুক মামলার দখল নেবে কেন কর্মীরা?

নেতাকর্মীরা মনে করেন, রাজপথে নামার চেয়ে লন্ডনে বিকল্প হাওয়া ভবনের সদস্যদের দালাল হতে পারলেই চলে। অথবা বিকল্প হাওয়া ভবনের ফুট ফরমায়েশ খাটার জন্য ভাইয়া গ্রুপে নাম লেখাতে পারলে তো আর কোনো কথাই নেই। নেতাদের উপর খবরদারি, কাড়ি কাড়ি টাকা- সবই আসবে। মামলা, হুলিয়া, রিমান্ড, জেল জুলুম থেকেও দূরে থাকা যাবে। ভেতরে ভেতরে শ্লোগান উঠছে ‘ভাইয়া গ্রুপে নাম লেখাও-রাজপথ ছেড়ে দাও’।

যারাই এই ‘হাওয়া ভবনের’ আশীর্বাদ পেয়েছে, তারাই আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে রাতারাতি। এমনই একজন আবদুর রহমান সানী। লন্ডনে যিনি বিএনপির অঘোষিত চীফ এক্সিকিউটিভ হিসেবে পরিচিতি। জীবীকার তাগিদে লন্ডন এসে কপাল খুলে গেছে তার। অথচ অতীতে রাজনীতির কোনো সংশ্লিষ্টতাই ছিলো না। সানীর এখন টাকার অভাব নেই। যুক্তরাজ্য বিএনপির সেক্রেটারির ব্যবসায়িক পার্টনারও তিনি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক বিএনপি নেতা বলেন, দেশে যেমন হাওয়া ভবন করে বিএনপিকে ডুবানো হয়েছিল, এখন লন্ডন থেকেও একই কাজ করা হচ্ছে। এভাবে দল চালানো যাবে না। ত্যাগীদের মূল্যায়ন না করলে রাজপথে আন্দোলন করবে কারা?

তিনি আরও বলেন, দফায় দফায় নির্বাচনে ব্যর্থতা, খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আন্দোলন জমাতে না পারার পেছনে অন্যতম কারণ লন্ডনের ওই ‘দ্বিতীয় হাওয়া ভবন’।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours