যে চুক্তিতে খালেদাকে মাদার অব ডেমোক্রেসি পুরস্কার দেয় ধর্ষক যোশে ম্যারিও

1 min read

নিউজ ডেস্ক : কানাডিয়ান হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (সিএইচআরআইও) নামের একটি নামসর্বস্ব সংগঠন খালেদা জিয়াকে ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ সম্মাননা দেয় ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই। অথচ সাড়ে ৩ বছর গত হওয়ার পর এ পুরস্কার পাওয়ার তথ্য জানায় বিএনপি।

বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় এসেছে নামসর্বস্ব সংগঠনটির প্রধান যোশে ম্যারিও গুইলোম্বা ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ায়। শুধু তাই নয়, গ্রেপ্তার হওয়ার পর ৬৪ বছর বয়সি যোশে ম্যারিও টরন্টো পুলিশের কাছে স্বীকার করেন- বিপুল পরিমাণ টাকা এবং বিশেষ সুযোগ সুবিধার বিনিময়ে বিভিন্ন উপাধিতে ভূষিত করে ক্রেস্ট বিক্রি করেন তিনি।

কানাডার স্থানীয় পুলিশের মুখপাত্র ভিক্টর কোয়াং দেশটির গণমাধ্যমকে জানান, যোশে ম্যারিও ক্রেস্ট বিক্রির জন্য সুপরিচিত। ২৫ ফেব্রুয়ারি ও ১ মার্চ অভিবাসন সংক্রান্ত পরামর্শ সেবা নেওয়ার জন্য সিএইচআরআইও’র অফিসে যান ভুক্তোভোগি নারী। তখন তার সাথে মিটিং চলাকালে যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।

গত বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) অভিযুক্ত গুইলোম্বাকে ১০০০-ফিঞ্চ এভিনিউতে টরন্টো ওয়েস্ট কোর্টে হাজির করার কথা ছিল বলে জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম। পুলিশ জানিয়েছে, তাদের ধারণা আরো কয়েকজন ভুক্তভোগী যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

এদিকে যোশে ম্যারিও’র অফিস ও সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, খালেদা জিয়ার মাদার অব ডেমক্রেসি নামে ক্রেস্ট দেওয়ার জন্য ৮০ হাজার কানাডিয়ান ডলার নেয় প্রতিষ্ঠানটি। বাংলাদেশি যার মূল্য প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা।

জানা যায়, কানাডার একটি নাইট ক্লাবে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের সাথে পরিচয় হয় সিএইচআরআইও’র প্রধান যোশে ম্যারিও গুইলোম্বা’র। সেখানেই এ পুরস্কারের বিষয়ে যোশে ম্যারিও কথা হয় ফখরুলের সঙ্গে। দক্ষিণ এশিয়ার নারীদের প্রতি বাড়তি আকর্ষণ জানতে পেরে তার জন্য একাধিক নারীর সাথে মনোরঞ্জনের ব্যবস্থা করে দেন মির্জা ফখরুল এবং খালেদা জিয়াকে মাদার অব ডেমোক্রেসি পুরস্কার দেওয়ার চুক্তি করেন।

বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপির প্রতারণা আবারও উন্মোচিত হলো জনগণের সামনে। রাজনৈতিক ফায়দা নেবার জন্য দলটি কত নিচে নামতে পারে এটাই তার প্রমাণ।

+ There are no comments

Add yours