সন্ত্রাসী তকমা ঢাকতে গিয়ে ধর্ষক তকমা পেলো বিএনপি

1 min read

নিউজ ডেস্ক: এক-দু’বার নয়, বেশ কয়েকবার কানাডার ফেডারেল আদালতের রায়ে বিএনপিকে বলা হয়েছে সন্ত্রাসী সংগঠন। দলটি তখন সেই খবর ঢাকতে ২০১৮ সালে যোগাযোগ করে সে দেশের ভুঁইফোড় মানবাধিকার সংগঠন কানাডিয়ান হিউমান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশনের (সিএইচআরআইও) সঙ্গে। সে সময় আড়াই লাখ কানাডিয়ান ডলারে সিএইচআরআইও থেকে মাদার অব ডেমোক্রেসি অ্যাওয়ার্ড কিনে বিএনপি।

কানাডার ফেডারেল আদালতে সন্ত্রাসী সংগঠনের তকমা পাবার পর বাংলাদেশের মানুষের আই ওয়াশ করতে কোটি টাকা খরচ করে অ্যাওয়ার্ড নেয়ায় সে সময়ে বিশিষ্টজনরা বলছিলেন, অতীত কর্মকাণ্ড ঢাকতে ঢাকঢোল পিটিয়ে পুরষ্কার নিলো বিএনপি। তারা ভেবেছে, মানুষ সব ভুলে গেছে। কিন্তু বিষয়টি কি এতই হালকা, যে মানুষ ভুলে যাবে। মানুষ ভোলেনি তাদের নারকীয় সেই সব সন্ত্রাসীকাণ্ডের কথা। যা ভেবে শিউরে ওঠে আজও।

নির্ভরযোগ্য সূত্রের তথ্যমতে, বিএনপি তাদের শাসনামলে ও ক্ষমতায় আসার আগে নির্বিচারে মানুষ হত্যাসহ যেভাবে জ্বালাও-পোড়াও করেছে তা দেশের পাশাপাশি বহির্বিশ্বও অবলোকন করেছে। যারই প্রেক্ষিতে কানাডায় বিএনপি নেতাকর্মীদের কেউ আশ্রয় চাইতে গেলেই তাদেরকে দেশটির আদালত স্মরণ করিয়ে দেয় তাদের অতীত কর্মকাণ্ডের কথা। বলে, তারা একটি সন্ত্রাসী দল। কিন্তু বারবারই বিএনপি বিষয়টি লুকিয়ে রেখেছে। কখনো মুখ ফুটে ভুলেও বলেনি। সম্প্রতি ২০১৮ সালে দেশটির ভুঁইফোড় একটি মানবাধিকার সংস্থা থেকে কেনা সম্মাননা নিয়ে তারা মেতেছে প্রচারণায়। বলছে, এটা বিশাল এক অর্জন।

যদি কোটি টাকা দিয়ে আনা বিএনপির চোখে বিশাল অর্জন, বর্তমানে আরো লজ্জায় ফেলে দিলো তাদের। কারণ বেগম খালেদা জিয়াকে মাদার অব ডেমোক্রেসি পদক দেয়া কানাডিয়ান হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশান- কানাডিয়ান হিউমান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশান (সিএইচআরআইও) এর প্রতিষ্ঠাতা প্রধান যোশে ম্যারিও গুইলোম্বোকে এক নারীকে আটকে রেখে একাধিকবার নির্যাতনের অভিযোগে আটক করেছে টরন্টো পুলিশ।

দেশের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ‘চোরের মায়ের বড় গলা’ প্রবাদটির কথা আবারও মনে পড়ে গেলো। কারণ, বিএনপি সন্ত্রাসী দল, এটা কম-বেশি সবাই-ই জানেন। কিন্তু বরাবরই তারা বিষয়টি এড়িয়ে গেছে। এমনকি কানাডার আদালতের রায়ের পরেও। এরপর তারা বিষয়টি আই ওয়াশ করতে কানাডা থেকে কোটি টাকার বিনিময়ে নিলো মাদার অব ডেমোক্রেসি অ্যাওয়ার্ড। কিন্তু চোর চুরি করলে প্রমাণ রেখেই যায়। যাদের থেকে পুরস্কার নিলো তারাই এখন নারী কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত। বিএনপির জন্য খারাপ লাগে। আফসোস, সন্ত্রাসী তকমা ঢাকতে গিয়ে তারা পেলো ধর্ষকের তকমা।

+ There are no comments

Add yours