নিউজ ডেস্ক : দীর্ঘ ৮১ দিন হাসপাতালের আয়েশী জীবন শেষে বাসায় এসে নব উদ্যামে আয়েশ করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এরই মধ্যে বিএনপিতে এসেছে নতুন খবর। নেতৃত্বে ব্যর্থতাসহ নানা কারণে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ওপর দলটির সিনিয়র নেতারা আস্থা রাখতে পারছেন না বলে দলীয় একটি সূত্র জানিয়েছে।
সম্প্রতি বিএনপির একাধিক সিনিয়র নেতা জানান, বিভিন্ন মামলায় খালেদা জিয়া গোলক ধাঁধায় পড়ার পর থেকেই দলের দায়িত্ব চলে যায় তারেক রহমানের হাতে। আর দলের সব কার্যক্রমে তারেক রহমানের ভূমিকায় সিনিয়র নেতারা হতাশ। তারেকের একক নেতৃত্ব তারা মানতে নারাজ। ফলে দলের মধ্যে নতুন এক সংকটের তৈরি হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়া দায়িত্বশীল এক নেতা বলেন, বিএনপির মতো একটি রাজনৈতিক দলে একক নেতৃত্ব কখনোই কাম্য নয়।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে বিএনপির রাজনীতিতে গণতন্ত্রের লেশমাত্র নেই। তারেক রহমানের একক কর্তৃত্ব ও সিনিয়র নেতাদের পরামর্শ না নেওয়ায় দলের মধ্যে একটা বিভাজন সৃষ্টি হয়েছে। তারেক রহমানের কর্মকাণ্ডে সিনিয়র নেতারা অসন্তুষ্ট। এছাড়া আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও তারেক রহমান সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা থাকায় বিএনপির গুরুত্ব দিন দিন কমেছে।
এ বিষয়ে রাজনৈতিক বুদ্ধিজীবী ও বিশ্লেষকেরা বলেন, তারেক রহমান রক্তের উত্তরাধিকারী, সেটি ঠিক আছে। তবে এর আগে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো তিনি খণ্ডন করতে পারেননি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, বিএনপিতে পরিবারতন্ত্রের চর্চা চলছে। এতে এক সময় দলের সিনিয়র নেতারা রাজনীতির প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন।
একটি সূত্রও জানিয়েছে, রাজপথের আন্দোলনে ব্যর্থ বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। দুর্নীতির বোঝা মাথায় নিয়ে ২০০৯ সাল থেকে লন্ডনে পলাতক জীবন কাটাচ্ছেন তারেক রহমান। পরপর তিন মেয়াদে ক্ষমতায় আসতে না পারা এবং সরকারবিরোধী আন্দোলনে রাজপথে ব্যর্থ বিএনপির বর্তমান অবস্থাকে রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়াত্বের বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করছেন অনেকে। এমন পরিস্থিতিতে কেউ কারো ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না।
+ There are no comments
Add yours