বিএনপির প্রভাবশালীদের কাছে জিম্মি তৃণমূল নেতৃত্ব

0 min read

আগামী দিনের আন্দোলনকে সামনে রেখে সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি ও দলকে ঢেলে সাজাতে পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শুরু করেছে বিএনপি। কিন্তু এ ক্ষেত্রে বড় বাধা তাদের দলেরই প্রভাবশালী নেতারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্যমতে, এলাকায় আধিপত্য ধরে রাখতে যেকোনো মূল্যে নিজে কিংবা অনুসারীদের শীর্ষ নেতৃত্বে আনতে মরিয়া তারা। ফলে বেশিরভাগ জেলার নেতৃত্বে ঘুরেফিরে আসছে একই মুখ।

অতীতে আন্দোলনসহ দলীয় কর্মকাণ্ডে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ থাকার পরও নেতৃত্বের কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না।

বারবার সতর্ক করার পরও তারা একাধিক পদ আঁকড়ে ধরে আছেন। এতে একদিকে যেমন নেতৃত্বের বিকাশ হচ্ছে না, পাশাপাশি দলে আসছে না সাংগঠনিক গতিও।

এমন পরিস্থিতিতে যারা দীর্ঘদিন তৃণমূলে একই পদে আছেন তাদের পরিবর্তে যোগ্য ও ত্যাগীদের শীর্ষ পদে আনার জোর দাবি জানাচ্ছেন বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা। তাদের মতে, কাউন্সিলের মাধ্যমে দল পুনর্গঠন করা হলেই নেতৃত্বে পরিবর্তন আসবে।

কেন্দ্রীয় দফতর সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির ৮১টি সাংগঠনিক জেলা রয়েছে। এর মধ্যে ৩৯টি জেলায় আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১০টি জেলায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক থাকলেও কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়নি। পূর্ণাঙ্গ কমিটি আছে ৩১টি। ফরিদপুর ও লক্ষ্মীপুরের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছিল। শুক্রবার লক্ষ্মীপুর জেলার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, এরা হাইকমান্ডকে ম্যানেজ করে ধরে রাখতে চাচ্ছেন নিজেদের আধিপত্য। তৃণমূলের মতকে উপেক্ষা করে ভোটে হেরেও জেলার নেতৃত্বে আসছেন অনেকে। এক্ষেত্রে হাইকমান্ডও কঠোর সিদ্ধান্তে আসতে পারছে না। প্রভাবশালীদের কাছে তারাও জিম্মি হয়ে আছেন।

শুধু কমিটি পুনর্গঠন নয়, এক নেতার এক পদ কার্যকরেও বাধার সৃষ্টি করছেন প্রভাবশালীরা। জানা যায়, কেন্দ্রীয় কমিটির ঘোষণার পর যাদের একাধিক পদ রয়েছে তাদের একটি পদ রেখে বাকি পদ ছেড়ে দিতে বারবার কেন্দ্রের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কয়েকজন নেতা হাইকমান্ডের এ নির্দেশ মেনে একাধিক পদ ছেড়ে দেন। কিন্তু প্রভাবশালী নেতারা দীর্ঘদিন ধরে একাধিক পদ নিয়ে কেন্দ্র ও জেলার নেতৃত্বে বহাল রয়েছেন।

সম্প্রতি তাদের একাধিক পদ ছেড়ে দিতে ফের কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু এসব নেতারা নানা কৌশলে পদ আঁকড়ে ধরে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছেন। কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্বের হাতে জেলার দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। কিন্তু নানা কৌশলে তারা জেলার কাউন্সিল আটকে রাখছেন।

জানতে চাইলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান বলেন, আমাদের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এক নেতা একটির বেশি পদে থাকতে পারবেন না। অনেকেই একাধিক পদ ছেড়ে দিয়েছেন। আমি নিজেও নোয়াখালী জেলার সভাপতির পদ ছেড়ে দিয়েছি। যারা এখনো একাধিক পদে আছেন তারা নিশ্চয়ই দলের সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন।

+ There are no comments

Add yours