মাঠের রাজনীতিতে জনপ্রিয়তা তলানিতে ঠেকেছে বিএনপির

1 min read

দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া সরকারের অনুকম্পায় বিশেষ জামিনে কারাগারের বাইরে অবস্থান করছেন। রোববার তার শারীরিক অসুস্থতা বৃদ্ধি পেলে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়।ফলে এক যুগের বেশি ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি চলছে লন্ডনে পলাতক দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ইশারায়।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গো-হারা হেরে জনসম্পৃক্ততা ও মাঠের রাজনীতিতে বিএনপির জনপ্রিয়তা একবারে তলানিতে ঠেকেছে। নেতা-কর্মীদের মধ্যে এক রকম গাছাড়া ভাব বা দল নিয়ে অনীহা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে বিএনপির রাজনৈতিক সংকট নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

করোনার দোহাই দিয়ে বিগত দুই বছর ঘরের মধ্যেই কাটিয়ে দিয়েছেন বিএনপির অধিকাংশ সিনিয়র নেতাকর্মী। এ অবস্থায় খালেদা জিয়ার মতো বিএনপিও কী সংকটাপন্ন হয়ে সিসিইউতে ভর্তি রয়েছে, এ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে কানাঘুষো।

কিছুদিন আগে দলের কেন্দ্রীয় থেকে শুরু করে জেলা পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করে বিএনপির হাইকমান্ড। পাশাপাশি বিএনপিপন্থী পেশাজীবীদের সঙ্গেও বৈঠক করা হয়। নেতাদের মতামত নিয়ে একটি সারসংক্ষেপও তৈরি করা হয়েছিল।

এতকিছুর পরও জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে এখনও হরিহর সম্পর্ক বলবৎ রয়েছে। আন্দোলন তো দূরের কথা, একটি মিছিলও করতে পারছে না বিএনপি। এ অবস্থায় বিএনপি নামের দলটির একেবারে নিশ্চিহ্ন হতে বেশি সময় বাকি নেই বলেও ভবিষ্যদ্বাণী করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।

তারা বলছেন, বিএনপি একটি বড় দল হলেও এখনো রাজনৈতিক কৌশল রপ্ত করতে শেখেনি। দেশের যেকোনো দুর্যোগে একটি বড় দলের কাছে জনগণের যে প্রত্যাশা থাকে, সেই প্রত্যাশা পূরণে বিএনপি একেবারেই ব্যর্থ হয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আরো বলেন, করোনাকালে বিএনপির সিনিয়ররা জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে উল্টো কয়েক দফায় দলের সব কার্যক্রম স্থগিত রেখেছেন। নেতাদের দায়িত্বহীনতার কারণে শত শত বিএনপির কর্মী-সমর্থকরা আজ নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে নিষ্কর্মা নেতাকর্মীর কারণে বিএনপির অবস্থা বর্তমানে খালেদার মতোই সংকটাপন্ন।

+ There are no comments

Add yours