নিউজ ডেস্ক : দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ সরকার পতনে শিগগির কঠোর আন্দোলনে নামবে বিএনপি। তবে এই আন্দোলন কবে এবং কিভাবে গড়ে তোলা হবে সেটির কোন রূপরেখা দিতে পারেননি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
শনিবার (৮ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সামনে এক মানব-সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। তবে সূত্রের বরাতে জানা গেছে, অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত বিএনপি নেতৃবৃন্দ ঠিক কবে নাগাদ আন্দোলনে নামবে, তার কোন সদুত্তর দিতে পারেননি গয়েশ্বর। কোন সমস্যার কারণে বিএনপি দীর্ঘ সাড়ে তিন বছরেও বেগম জিয়ার মুক্তি আদায়ে শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তুলতে পারলো না, এমন প্রশ্নেও এসময় গয়েশ্বরকে বিব্রত হতে দেখা গেছে বলে জানা যায়।
এদিকে বিএনপি বারবার কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েও কেন আন্দোলন করতে পারছে না, সেই বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার বলেন, দেখুন তারেক রহমানের নির্দেশে বিএনপি নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত করতেই আমরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আন্দোলন গড়ে তোলার কথা বলি। সত্যি বলতে, আমরা এখন বেগম জিয়ার মুক্তি আদায় ও সরকার পতনের আন্দোলনের রূপরেখা ঠিক করতে সমর্থ হইনি। তবে আন্দোলনের প্রেক্ষাপট রচনার কাজ চলছে। শিগগির আন্দোলনের রূপরেখা জনসম্মুখে প্রচার করা হবে।
তিনি আরো বলেন, সত্যি বলতে-বিএনপির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আন্দোলন গড়ে তোলার বিষয়ে কথা বলেও আমিও একাধিকবার কর্মীদের রোষানলে পড়েছি। এক কথা বারবার বলেও সেটির বাস্তবায়ন না হলে তো নেতা-কর্মীরা ক্ষুব্ধ হবেনই। ঠিক সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে গয়েশ্বরের সাথে। তবে তিনি বিষয়টিকে স্মার্টলি হ্যান্ডেল করতে পারেননি। যার কারণে তাকে বিব্রত হতে হয়েছে।
এই বিষয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বক্তব্য জানতে ফোন করা হলে তিনি বলেন, বৃহত্তর একটি রাজনৈতিক দলে মতবিরোধ থাকতেই পারে। এছাড়া আন্দোলন গড়ে তুলতে আমরা গড়িমসি করছি, যার কারণে নেতা-কর্মীদের মাঝে কিছুটা ক্ষোভ তো থাকতেই পারে। আর যারা চাঁদা দিয়ে বিএনপিকে টিকিয়ে রেখেছেন, তাদের কথাও তো শুনতে হয় আমাদের। এটি নিয়ে রাজনীতি করার কিছু নেই।
+ There are no comments
Add yours