বিগত ১৪ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ সময় পার করছে বিএনপি। আওয়ামী লীগের তুলনায় খানিকটা দুর্বল হওয়ায় দলগতভাবে নিজেদের শক্তিশালী করতে বিগত সময়ে নানা প্রকারের চেষ্টা লক্ষ্য করা গিয়েছে বিএনপিতে।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে দলে যুক্ত করার সঙ্গে সঙ্গে সে সময়ে বিএনপি থেকে বিতাড়িত সংস্কারপন্থীদেরও দলে ভেড়ান বিএনপির নীতিনির্ধারকরা। এরপরও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয় ঘটেছে বিএনপির।
সংস্কারপন্থীরা বলছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হতে গিয়ে সংস্কারপন্থীদের দলে ভেড়ালেও এখনো উপযুক্ত মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে না তাদের। উল্টো প্রতিটি ক্ষেত্রেই তাদেরকে সন্দেহ করার পাশাপাশি কঠিন নজরদারিতে রাখা হয়েছে এবং হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে একাধিক বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, কোনো ভাবেই সংস্কারপন্থীদের আস্থায় নিতে পারছেনা দলের নেতাকর্মীরা।
যুক্তরাজ্য থেকে তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ এক নেতা জানান, সংস্কারপন্থীদের দলে ফিরিয়ে নেয়া হলেও এখনো এসব নেতাদের নিয়ে তারেক রহমান শঙ্কায় আছেন। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, সংস্কারপন্থীরা বিএনপির নীতি-আদর্শ থেকে কিছুটা হলেও বিচ্যুত। তাছাড়া বিভিন্ন সময় তারা দলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিলেন। সেসব প্রক্রিয়া থেকে বর্তমানে তারা কতটুকু নিজেদের সরিয়ে নিয়েছেন তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে বিএনপির নেতাকর্মীদের।
খবর নিয়ে জানা যায়, তিন বছর আগে দলে ফিরে আসা সংস্কারপন্থীরা কোথায় কোথায় যাতায়াত করছেন, কাদের সঙ্গে বসে শলা-পরামর্শ করছেন তা পর্যবেক্ষণে রাখতে ছাত্রদলের বেশ কয়েকজন নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা বিএনপিতে থেকে অন্য দলের হয়ে কাজ করছেন কিনা, সেই বিষয়ে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
বিষয়টিকে বেদনাদায়ক হিসেবে আখ্যা দিয়ে বিএনপির সংস্কারপন্থী এক নেতা বলেন, বর্তমানে বিএনপির নেতা হয়েও দলের কোনো কাজে আমাদের ডাকা হয় না। যদি এমনই অবস্থা হয়, তবে অযথা কেন আমাদের দলে ডাকা হলো। নির্বাচনের সময় ভোটের জন্য আমাদের সমাদর করা হলো, কিন্তু নির্বাচন শেষে আমাদের দিকে ফিরেও তাকাচ্ছে না। এতে বোঝা যায়, বিএনপি কতোটা স্বার্থপর দল। আর এ কারণেই তাদের আজ এই করুণ পরিণতি।
+ There are no comments
Add yours