পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে একটি গুলিও চালায়নি জিয়া

1 min read

নিউজ ডেস্ক: জিয়াউর রহমান ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের একজন সেক্টর কমান্ডার। অথচ তার হাতে কোনো পাকিস্তানি সেনা সদস্যের জীবন যায়নি। এমনকি পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে কখনও একটি গুলিও চালায়নি তিনি। এসব সত্য বেড়িয়ে আসে তার সহযোদ্ধাদের মুখ থেকেই।

জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে তার গতিবিধি সন্দেহজনক ছিল। তখন তিনি পাকিস্তানি আর্মি অফিসারদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করতেন যা ১ নং ১১ নং সেক্টরের সবাই জানতো। পরবর্তীতে যখন প্রমাণ হলো তিনি মূলত পাকিস্তান আর্মির গুপ্তচর ছিলেন। তখন সকলের সন্দেহ বাস্তবে পরিণত হয়।

জেড ব্রিগেড কমান্ডার মেজর জিয়া যে পাকিস্তানের পক্ষে ছিলেন তার প্রমাণ পাওয়া যায় যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে তার কাছে লেখা কসাই টিক্কা খানের অন্যতম বিশ্বস্ত অনুসারী কর্নেল বেগের একটি চিঠি থেকে। সেই চিঠিতে জিয়াকে পাক আর্মির সদস্য হিসেবে উল্লেখ করেন কর্নেল বেগ এবং জিয়ার কৃতকর্মের প্রশংসাও করা হয় ওই চিঠিতে। এও বলা হয়, শিগগিরই তাকে নতুন কাজ দেওয়া হবে । এখান থেকেই পরিষ্কার হয় তিনি পাকিস্তানের মিত্র হয়ে যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। তাই জিয়া কখনো পাকিস্তানি সেনাদের উপর গুলি চালায়নি।

মেজর জিয়া পাকিস্তানের মিত্র ছিল বলেই তাদের নির্মম পরাজয়ের পর ‌৭৫ এর ১৫ আগস্ট মোশতাক চক্রকে সাথে নিয়ে ইতিহাসের বর্বোচিত ঘটনা ঘটান। বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান নায়ককে সপরিবারে হত্যা করেন। যে সব রাজাকার-যুদ্ধাপরাধীদের সহযোগিতায় ২ লক্ষ মা বোনকে ক্যাম্পে নিয়ে হত্যা-ধর্ষণ-নির্যাতন করেছিল পাকিস্তানি সেনারা, পরবর্তীতে সেই সকল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করেছিলেন এই জিয়াউর রহমান। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের শক্তি ও অনুপ্রেরণা- ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান নিষিদ্ধ করে পাকিস্তানের ‘জিন্দাবাদের প্রচলন’ শুরু করেছিলেন জিয়া। যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছিলেন। দেশে ফিরিয়ে এনেছিলেন কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমকে। চিহ্নিত স্বাধীনতাবিরোধীকে বানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। যুদ্ধাপরাধীদের বিএনপিতে নিয়ে বানিয়েছিলেন মন্ত্রী। এতসব সম্ভব করতে গিয়ে দেশের সংবিধান কাটাছেড়া করে রক্তাক্ত করেছিলেন তিনি। এত কিছুর পর নিশ্চই আর বুঝতে বাকি থাকে না- জিয়া পাকিস্তানের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে এসব করেছিলেন।

+ There are no comments

Add yours