নিউজ ডেস্ক : ফেসবুক-ইউটিউবে বারবার সরকারবিরোধী আন্দোলনের ডাক দিয়েও কর্মীদের রাজপথের আন্দোলনে নামাতে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি দিন দিন দলীয় ভঙ্গুরাবস্থার প্রমাণ দিচ্ছে। দীর্ঘ ৪২ মাস ধরে দলটির নেত্রী বন্দী থাকলেও কার্যকর কোন আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি দলটি। মূলত কর্মীদের সমর্থন হারিয়ে ফেলায় বিএনপি নেতাদের বক্তৃতা, আন্দোলনের হুমকি রাজনীতিতে হাস্যরসের জন্ম দিচ্ছে।
বিএনপির বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থান ও নেতাদের বক্তৃতার গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে জানতে চাইলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা দলটি সম্পর্কে এমনটাই মন্তব্য করেছেন।
বিএনপির রাজনৈতিক অচলাবস্থার বিষয়ে জানতে চাইলে রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক এ আরাফাত বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে চেয়ারপারসনকে মুক্ত করতে আন্দোলনের ডাক দিলে তা প্রতিহতের শক্তি বর্তমান সরকারের নেই। বিষয়টি আমার কাছে হাস্যকর মনে হয়েছে। আন্দোলন গড়ে তুলতে যৌক্তিক ও সত্য ইস্যু প্রয়োজন হয়। বেগম জিয়ার দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ায় তার সাজা হয়েছে। যা দলটির নেতা-কর্মীরাও জানেন। যার কারণে মিথ্যা ও অযৌক্তিক ইস্যুতে তারা আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলায় জড়াতে চাচ্ছেন না।
তিনি আরো বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীরা হর-হামেশা আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছেন। কথার ফুলঝুরি ঝরাচ্ছেন। লাভের লাভ কিছু হচ্ছে না। সত্যি বলতে, জনসম্পৃক্ততা নেই বিএনপির। যার কারণে আন্দোলনও গড়ে উঠছে না। রাজনীতিতে যখন আপনার প্রতারক চরিত্র উন্মোচিত হয়ে যায়, তখন আসলে বক্তৃতা, হুংকারই আপনার সম্বল। নীতি-নৈতিকতা হারিয়ে বিএনপির আজ সেই অবস্থাই হয়েছে। রাজপথে নামার যাদের সাহস নেই, তারাই কেবল বাক্যবাণে যুদ্ধে জড়াতে পারে।
এদিকে বিষয়টিকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করে বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, রাজপথের কর্মসূচি না থাকায় আজকে বিএনপিকে নিয়ে নানা মুখরোচক গল্প সাজানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে নেতারা মুখে আন্দোলনের ফেনা তুললেও সাংগঠনিকভাবে দলকে গোছাতে পারছেন না। কিছু প্রেক্ষাপটে এমন অভিযোগ সত্য। কারণ কিছু বিতর্কিত বিষয় নিয়ে বিএনপি আন্দোলনে প্রেক্ষাপট রচনার চেষ্টা করছে, যা জনমনে নানা প্রশ্নের উদ্রেক করছে। রাজনীতিতে হাসি-ঠাট্টা করাটা সমীচীন নয়। আশাকরি বিএনপির দুর্বলতা নিয়ে আর কেউ মশকরা করবেন না।
+ There are no comments
Add yours