নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি ইস্যু নিয়ে চাপের মুখে পড়েছেন তার অনুসারী শীর্ষ নেতারা। খালেদা জিয়ার কারাবাসের সমান্তরালে তারাও যেন বিএনপিতে অবহেলিত হয়ে পড়েছেন।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, বিএনপিতে বিশেষ করে মির্জা ফখরুল ও ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারের মতো নেতাদের প্রয়োজনীয়তা দিন দিন ফুরিয়ে যাচ্ছে। তাদের নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র ও নিন্দা দলের অভ্যন্তরেই চলছে।
শুধু পদ-পদবির জন্য মির্জা ফখরুল ও জমিরউদ্দিনের সামনে সম্মান দেখালেও গোপনে তাদের বিরুদ্ধে চলছে গভীর ষড়যন্ত্র। আর এ ষড়যন্ত্র করছে দলের বড় একটি অংশ। এ ষড়যন্ত্রে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদের গোপন সমর্থন রয়েছে বলেও গুঞ্জন রয়েছে।
এছাড়া খালেদা জিয়ার পক্ষে রাজনীতি করায় মির্জা ফখরুল ও জমির উদ্দিনরা দলে অনেকটা কোণঠাসা অবস্থায় রয়েছেন বলেও গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে।
দলের বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার জামিনের রাজনীতিতে ব্যর্থ হওয়ায় মির্জা ফখরুলকে মহাসচিবের পদ থেকে উৎখাত করতে অভ্যন্তরীণ আন্দোলন গড়ে তোলার প্রক্রিয়া চলছে। এমনকি তার ও ব্যারিস্টার জমির উদ্দিনের রাজনৈতিক ব্যর্থতার বিষয়ে লিখিত আকারে অভিযোগ দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বরাবরও পাঠানো হচ্ছে।
এ পরিস্থিতিতে দলের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সারির নেতাদের অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে দলে অনেকটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন বিএনপির এ শীর্ষ দুই নেতা।
মির্জা ফখরুল ইসলামের ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাতে জানা গেছে, রিজভী আহমেদের পরোক্ষ ইন্ধন ও সমর্থনে দলের কিছু নেতা মির্জা ফখরুলকে রাজনৈতিকভাবে বেকায়দায় ফেলতে কাজ করছেন। মির্জা ফখরুলরা ঠাণ্ডা মাথায় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে পদক্ষেপ নিতে চাইলেও তাদের এসব পর্যবেক্ষণকে সাংগঠনিক ও নেতৃত্বের দুর্বলতা বলে প্রচার করা হচ্ছে দলের ভেতর। এক কথায় সিনিয়র নেতাদের হটিয়ে রিজভীদের মতো মধ্যবয়সী কিছু নেতা দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ দখল করতে এমন দলীয় ষড়যন্ত্র করছেন বলেও গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে।
খালেদার মুক্তি আন্দোলনে যোগদান না করে এবং বিপদের দিনে দলকে আরো চাপে ফেলে পদ দখলের এ রাজনীতি আগামীতে বিএনপির বড় ধরনের ক্ষতি করবে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
+ There are no comments
Add yours