আব্বাসের পদ বাণিজ্য নিয়ে গুঞ্জন

1 min read

নিউজ ডেস্ক: নানা গুঞ্জনের পর ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছে বিএনপি। সোমবার ঘোষিত নতুন কমিটিতে দক্ষিণে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালামকে আহ্বায়ক ও মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সভাপতি রফিকুল আলম মজনুকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। এ কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন আগের কমিটির সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার।

সাধারণ সম্পাদক নিয়ে কোনো আলোচনা না থাকলেও গত কমিটির সভাপতিরপদ হারানো নিয়ে চলছে আলোচনা।

বিএনপির অপর একটি সূত্র জানায়, ঢাকা দক্ষিণ বিএনপিতে সোহলের উত্থানের কারণে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের প্রভাব কমে যাচ্ছিল। কিছুদিন ধরেই আলোচনা চলছিল সোহেলকে সরিয়ে নিজের অনুগত কাউকে কমিটিতে আনতে সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করেন মির্জা আব্বাস। বিএনপিতে রফিকুল আলম মজনু মির্জা আব্বাসের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

সূত্র জানায়, আগের কমিটির সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল রাজপথের সক্রিয় নেতা। বিএনপির তরুণ নেতাদের মধ্যে জনপ্রিয় বটে। তার পদ হারানোর কারণ নেই। কিন্তু মির্জা আব্বাসের টাকার দাপটের কাছে সোহেল হেরে গেছেন বলে জানাচ্ছেন বিএনপি নেতারা।

বিএনপির ঢাকা দক্ষিণের নেতা হারুন অর রশিদ বলেন, সোহেল ভাই পরীক্ষিত নেতা। তাকে সরানোর কারণ দেখি না। কিন্তু মির্জা আব্বাস দীর্ঘদিন ধরে তাকে সরাতে চেষ্টা করছিলেন। এবার সোহেল ভাইকে সরিয়ে মজনু ভাইকে কমিটিতে আনতে মির্জা আব্বাস সফল হয়েছেন। জেল-জুলুম সহ্য করেও টাকার কাছে হেরে গেলেন সোহেল ভাই।

জানা গেছে, মির্জা আব্বাস তার অনুগত নেতাকে কমিটিতে আনতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে পাঁচ কোটি টাকা দিয়েছেন।

এত টাকা খরচ করে কমিটিতে মির্জা আব্বাস নিজের অনুসারীকে পদবী দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে বিএনপির এক কেন্দ্রীয় নেতা জানান, ঢাকার দুই কমিটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঢাকার দুই কমিটি যাদের হাতে থাকে তারাই কেন্দ্রীয় বিএনপিতে ছড়ি ঘোরান। ফলে এ কমিটি হাতে রাখতে পাঁচ কোটি টাকা খরচ করা খুব বেশি কিছু নয়।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours