বিএনপি থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন সবাই

1 min read

নিউজ ডেস্ক: বিএনপির নিবেদিত ও সিনিয়র অনেক নেতা দলের কর্মকাণ্ডে হতাশ হয়ে নিজেদের এরই মধ্যে গুটিয়ে নিয়েছেন। যারা এক সময় সরব ছিলেন তারাও নানা কর্মে এখন হতাশ ও বিরক্ত।

আর এ কারণেই বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বিএনপি নেতারাই বলছেন হতাশা নয়, বিরক্তির কারণেই অনেক সিনিয়র নেতা নিজেদেরকে গুটিয়ে নিয়েছেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপির ভুল রাজনীতি এবং বিভ্রান্তিকর কর্মসূচির কারণে এসব নেতা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ওপর বিরক্ত। আর এ কারণেই তারা নিজেদের ক্রমশ গুটিয়ে নিচ্ছেন।

বিএনপির সরব থাকা নেতাদের মধ্যে মির্জা আব্বাস ছিলেন অন্যতম। তবে সাম্প্রতিক সময়ে মির্জা আব্বাসকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। ইলিয়াস আলীর নিখোঁজ হওয়া নিয়ে তিনি যে মন্তব্য করেছেন, সেই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে স্থায়ী কমিটির একজন নেতা হয়েও তিনি নোটিশ পান। এ নোটিশ পাওয়ার পরপরই নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন।

আর এরপর থেকে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে মির্জা আব্বাসের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। কোনো বক্তৃতা ও বিবৃতিতেও তাকে আর দেখা যায়নি।

বিএনপির আরেক নেতা ছিলেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনিও ভগ্নহৃদয় নিয়ে ঘাপটি মেরে আছেন। একদিকে খালেদা জিয়ার তথাকথিত মুক্তির জন্য তার পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন-নিবেদন, অন্যদিকে মির্জা আব্বাসকে নিয়ে টানাহেঁচড়া। এ দুই কারণে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বিএনপির নেতৃত্বের ওপর ক্ষুব্ধ বলে জানা গেছে।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সব সময় মনে করতেন, খালেদা জিয়া এমনি এমনি মুক্তি পাবেন না। তার মুক্তির জন্য আন্দোলনই ছিল সবচেয়ে বড় উপায়। কিন্তু বিএনপির এ আপস করার সংস্কৃতি তিনি মেনে নিতে পারেননি বলেই এখন নীরব।

অন্যদিকে অসুস্থতার কারণে রুহুল কবির রিজভীর কথামালার রাজনীতিতে ফুলস্টপ পড়েছে। বিষয়ভিত্তিক বক্তৃতা-বিবৃতি দিতে পারছেন না তিনি। আর এ কারণেই বিএনপির রাজনীতিতে শূন্যতা অনুভূত হচ্ছে বলে কেউ কেউ মনে করছেন।

বিএনপিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও কথা বলতেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনিও করোনায় আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ। তাই তাকেও রাজনৈতিক দৃশ্যপটে পাওয়া যাচ্ছে না।

এদিকে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বিভিন্ন ইস্যুতে সরব থাকতেন। তার মৃত্যুতে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে, তা পূরণ হবার নয় বলে বিশ্বাস করেন বিএনপির অনেক নেতা।

এছাড়াও দলের বিতর্কিত নানা সিদ্ধান্ত ও বিভাজনের কারণে মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব-উন-নবী খান সোহেলসহ যারা আছেন, তারা এখন নিজেদের গুটিয়ে রেখেছেন।

রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপির ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের মধ্যে এক ধরনের হতাশা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে রুহুল কবির রিজভীর অসুস্থতার পর সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিত এমরান সালেহ প্রিন্সকে দলের দাফতরিক দায়িত্ব দেয়াও দলের মধ্যে হতাশার আরেকটি বড় কারণ বলে মনে করছেন কেউ কেউ।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours