ভুলে ভরা আল জাজিরার প্রতিবেদন

1 min read

নিউজ ডেস্ক : সরকার বিরোধী এজেন্ডার বাস্তবায়নের রূপরেখা স্বরূপ পহেলা ফেব্রুয়ারি আল জাজিরার ইউটিউব চ্যানেলে একটি মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ পায়। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ থেকে এই মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ করা হয়েছে। এ কারণে যাচাই করা প্রয়োজন, আল জাজিরা কি কি মিথ্যাচার প্রচার করেছে। নিম্নে তা আলোচিত হলো।

প্রতিবেদনের ৭.২০ সেকেন্ডে আগমন ঘটে গল্পের মূল রূপকার সামি। যিনি বলেন, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে এসবের শুরু হয়। সে সময় তার বন্ধু তাকে জানায় জেনারেল আজিজ হাঙ্গেরিতে আসছেন। উল্লেখ্য, এখানে একটি বড় ভুল করে বসে আল জাজিরা। কারণ ২০১৪ সালে ডিসেম্বরে জেনারেল আজিজ জেনারেল ছিলেনই না। তিনি জেনারেল হন ২০১৮ সালের ২৬ জুন।

ফলে বিজিবির প্রধানকে জেনারেল আজিজ বলে সম্বোধন করা একপ্রকারের মিথ্যাচার। যদিও নেটিজেনরা সামির এমন কথাকে কথা বলার ভুল হিসেবে আখ্যায়িত করবে। তবে তাদের যেনে রাখা প্রয়োজন সিনেমাটির ক্যামেরার অ্যাঙ্গেল, মিউজিক এবং কথা বলার ধরনই বলে দেয়, সিনেমাটি নিতান্তই ঠাণ্ডা মাথায় তৈরি করা হয়েছে। ফলে ভুল বিষয়টি এখানে প্রতীয়মান হবার কথা নয়।

সঙ্গে যদি ভুল হয়, নিশ্চয়ই একই ভুল বার বার করার কথা না। কিন্তু সামি একই সময়ে বার বার তৎকালীন বিজিবির মহাপরিচালককে জেনারেল বলে সম্বোধন করছিলেন।

এছাড়া, কাল্পনিক সিনেমাটির ১১ মিনিটের সময় দেখা যায়, মেজর সামি রশিদ একটি ডকুমেন্ট পাঠান ২০১৫ সালের জুন মাসের ২ তারিখে।

কিন্তু এই রিপোর্ট তৈরির ৬ মাস আগের তারিখ অর্থাৎ ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসের ১৩ তারিখে ডিএচএলে ডকুমেন্টটি বুদাপেস্টে যায় বলে আল জাজিরা দেখায়।

অথচ আল জাজিরা এর কয়েক সেকেন্ড আগেই বলে, ডকুমেন্টটি বিজিবির কর্মকর্তা তৈরি করেছে ২০১৫ সালের ২ জুন।

যার মাধ্যমে প্রশ্ন তৈরি হয়, যে রিপোর্ট বিজিবি কর্তৃক ২০১৫ সালের জুন মাসে তৈরি হবে। সে রিপোর্ট তৈরি হবার ৬ মাস আগে আল জাজিরা এর তথ্য কোথায় পেলো? যেখানে এমন রিপোর্ট বিজিবি কর্তৃক তৈরি হলেও হতে পারে আরো ছয় মাস পরে। কারণ আল-জাজিরা নিজেই দেখায় তাদের হাতে রিপোর্টটি আসে ২০১৫ সালের ১৩ই জানুয়ারি। যেখানে বিজিবি রিপোর্ট বানাতে পারে ২০১৫ সালের জুন মাসে।

অপরদিকে ডিএইচএল-এ পণ্য পাঠাতে ২০১৫ সালের দিকে অন্তত ১৫ দিন লাগতো। কিন্তু আল জাজিরা দেখায় নথি পাঠানোর দুই দিন পরই তারা পেয়ে যায়।

তবে সবচেয়ে বড় ভুল আল জাজিরা করে অন্য জায়গায়। ডকুমেন্টের সম্পূর্ণ ঘটনা ২০১৫ সালের বলে আখ্যায়িত করলেও আবেদন পত্রের তারিখ দেখানো হয়েছে ২০১৯ সালের ১৮ মার্চ।

সারমর্ম : ঘটনা ২০১৫ সালের জুন মাসের। ঘটনা সৃষ্টির ছয় মাস আগে জানুয়ারির ১৩ আল জাজিরা একটি মিথ্যা ডকুমেন্ট তৈরি করে। ফলে আবেদনে লিখা তারিখ বদলাতে তারা ভুলে যায়। বিষয়গুলো প্রমাণ করে আল-জাজিরার প্রতিবেদনটি মিথ্যা।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours