নিউজ ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন টিকটক-এর রমরমা। শুধু কি আমআদমি, এই ভিডিও অ্যাপে মজেছেন সেলেবরাও। কিন্তু এত জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও অ্যাপটি ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। কয়েকজন আইনজীবী এই অ্যাপের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদনও করেছেন। তাঁদের দাবি, এসব ভিডিও সমাজে অপসংস্কৃতি ছড়াচ্ছে। অল্প বয়সের ছেলে-মেয়েরা টিকটকে আসক্ত হয়ে পড়ছেন। এবং সারাদিন মোবাইলের দিকে তাক করেই বসে রয়েছেন। টিকটক প্রেমীদের জন্য দুঃসংবাদ হল, পাশের দেশ ভারতে অ্যাপসটি নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে।
দেশটির কয়েকজন আইনজীবী এই অ্যাপের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদনও করেছেন। তাঁদের দাবি, এসব ভিডিও সমাজে অপসংস্কৃতি ছড়াচ্ছে। অল্প বয়সের ছেলে-মেয়েরা টিকটকে আসক্ত হয়ে পড়ছেন। এবং সারাদিন মোবাইলের দিকে তাক করেই বসে রয়েছেন।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, তরুণ প্রজন্ম মেতেছে ভিডিও অ্যাপস টিকটকে। নানা গানের, সংলাপের সাথে তাল মেলাচ্ছেন তারা। টিকটক ভিডিও থেকে বাদ যাচ্ছেনা ইসলামিক ওয়াজও। বাংলা ওয়াজের মজার অংশ উঠে আসছে টিকটক এর ভিডিওতে।
আইনজীবীদের আবেদনে একমত হয়ে তামিলনাড়ুর তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী এম মণিকন্দন জানান, সে রাজ্যে টিকটক নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
এর আগে অ্যাপটি বন্ধ করা নিয়ে সরব হয়েছিলেন তামিলনাড়ুর বিধায়ক থামিমুন আনসারি। তিনি বলেন, এই অ্যাপ কোনও ভালো কাজে তো লাগেই না। উল্টো যুব প্রজন্মের ক্ষতিই করছে। টিকটক-এ এমন কিছু ভিডিও রয়েছে যা যৌন উদ্দীপনা তৈরি করছে। ফলে সমাজে ক্রমেই ছড়াচ্ছে অপসংস্কৃতি। তাঁর কথাতেই সুর মিলিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে কেন্দ্রের সঙ্গেও কথা বলবেন তিনি। এ দেশ (ভারত) থেকেই যাতে টিকটক-কে মুছে ফেলা যায়, সেই ব্যবস্থাই নিতে চাইছে তামিলনাড়ু সরকার।
ঘটনা হল, শুধু বিনোদনের জন্যই যে মানুষ এই ভিডিও অ্যাপ ব্যবহার করছেন, এমন নয়। নানাভাবে এর অপব্যবহার করছে। এই অ্যাপের মাধ্যমে কোথাও শিশুদের নিয়ে অশ্লীল ভিডিও তৈরি হচ্ছে। এমনকী, ভিডিওতে মশকরা সহ্য করতে না পেরে গত বছর এক ব্যক্তি আত্মঘাতীও হয়েছিলেন। যদিও টিকটক-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, যাতে এর কোনও অপব্যবহার না হয়, তার জন্য সদা সচেষ্ট থাকবে সংস্থাটি।
+ There are no comments
Add yours