নিউজ ডেস্ক: বিদ্যালয় ছুটি পেয়ে গ্রামের বাড়িতে কিছুদিন বেড়ানোর কথা ছিল চট্টগ্রাম শহরের আগ্রাবাদ বালিকা বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়া আক্তারের (১৩)। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে খালা রহিমা বেগমসহ (৪৮) প্রাণ হারাতে হলো তাকে।
শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর প্রধান সড়কের বানীগ্রাম বাজারের কাছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও কাভার্ড ভ্যানের সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহত দুজন হলেন, অটোরিকশার চালক মো. জামাল (২৮) ও যাত্রী তড়িৎ গুহ (৪৭)। নিহত দুজনও অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন। নিহত রহিমা বেগমের বাড়ি বাঁশখালীর বাহারছড়া ইউনিয়নে হলেও সুমাইয়ার পরিবার বসবাস করে চট্টগ্রাম শহরের আগ্রাবাদে।
গুনাগরি আধুনিক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সুমাইয়া আক্তারের মাথায় ও রহিমা বেগমের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত লেগেছে। আহত চালক জামালের ডান হাত ও পাঁজরের হাড়ে এবং তড়িৎ গুহের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আহত দুজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
দুপুরে গুনাগরি আধুনিক হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে নিহতদের স্বজনের ভিড়। কাঁদছিলেন অনেকেই। নিহত সুমাইয়ার মা মশকুরা আক্তার বিলাপ করে বলছিলেন, ‘কিল্লে বেড়াইত আইয়র’ (কী জন্য বেড়াতে আসছিলি)।
ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আবদুল মোনাফ বলেন, দুর্ঘটনা কবলিত অটোরিকশাটি আরেকটি অটোরিকশাকে অতিক্রম করার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা কাভার্ড ভ্যানের একপাশে ধাক্কা লেগে উল্টে যায়। ফলে অটোরিকশাটির ডান পাশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, কাভার্ড ভ্যানটি জব্দ করা হয়েছে। চালক পলাতক। এ বিষয়ে থানায় এখনো কেউ অভিযোগ দেননি। না দিলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে।
+ There are no comments
Add yours