প্রশ্নপত্র ফাঁস সংক্রান্ত দুর্নীতিতে কোন ছাড় দেবে না সরকার

1 min read

 

নিউজ ডেস্ক: কোচিং নিয়ে বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে সারাদেশে সুশিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হবে বলেও জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

৭ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারে কয়েকটি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন তিনি।

নওফেল বলেন, দেশের সর্বত্র পড়ালেখার মান এক করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সঙ্কট নিরসনে কাজ চলছে। তাই শিক্ষকদের ইচ্ছেমতো বদলি আর নয়। কোচিংয়ে অংশ না নিলে শিক্ষার্থীদের ফেল করানোর মতো অনিয়মকারী শিক্ষকদের শনাক্তে কাজ চলছে। কোচিং বাণিজ্য এবং প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রগুলোকে আইনের আওতায় আনতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসকারীদের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। শিক্ষা নিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কোনোরকম ছাড় দেবে না সরকার।

এদিকে প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, পরিবহন, বিতরণসহ সব পর্যায়ে নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এর মধ্যে প্রশ্নের একাধিক সেট প্রণয়ন ও পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে প্রশ্নের সেট কোড নির্ধারণ অন্যতম। সারা দেশের কেন্দ্রগুলোতে পরীক্ষার দিন সকালে ট্রেজারি থেকে পরীক্ষার প্রশ্ন সংগ্রহ করতে হচ্ছে। ট্রেজারির নিকটবর্তী কেন্দ্রগুলোতে মাত্র আধা ঘণ্টা আগে প্রশ্ন সংগ্রহ করা হচ্ছে। আর পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মোবাইল নম্বরে সেট কোড ব্যবহারের নির্দেশনার এসএমএস যাওয়ার পর প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খুলতে পারছেন শিক্ষকরা। প্রশ্নপত্রের সব প্যাকেট থাকছে সিকিউরিটি টেপে মোড়ানো। কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া পরীক্ষার কেন্দ্রে সবার মোবাইল ফোন বা যেকোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ছবি তোলা যায় এমন মোবাইল ফোন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাও ব্যবহার করতে পারছেন না। এ ছাড়া এর আগে বিজি প্রেস থেকে প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার অভিযোগ ছিলো বলে এবার প্রেসে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এখানেও কেউ মোবাইল ব্যবহার করতে পারছেন না। সব মিলিয়েই প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে রীতিমতো মহাযজ্ঞে নেমেছে সরকার। পরীক্ষা চলাকালীন যেকোনো ধরনের অস্বাভাবিক লেনদেন মনিটরিং করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মোবাইল ব্যাংকিংয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য মনিটরিং করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, চলমান এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের কোনো অভিযোগ না আসায় স্বস্তি প্রকাশ করেছে এসব পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। মোহাম্মদপুর সরকারি কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া মারুফ বিল্লাহ মাসুম জানান, প্রশ্ন ফাঁস না হওয়ায় স্বস্তি পেয়েছি। এভাবেই কোনোরকম প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ছাড়াই যেন স্বস্তিতে পরীক্ষা দিতে পারি।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours