নিউজ ডেস্ক: শুরু হয়েছে ২০১৯ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষা। ২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া পরীক্ষায় এ পর্যন্ত প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তবে সরকারকে বিব্রত করতে এরইমধ্যে প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ছড়াচ্ছে স্বার্থান্বেষী মহল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, যারা প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ছড়াচ্ছে তারা অপরাধী, তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
এদিকে প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধের মাধ্যমে একটি ব্যাধিমুক্ত সমাজ গড়তে বিগত কয়েক বছর ধরে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালের পরীক্ষায় নেয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা। প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে এবার প্রতিটি কেন্দ্রে সিকিউরিটি টেপ ব্যবহার না করে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল পেপারের খামে প্রশ্নপত্র পাঠানো হচ্ছে। যদি কেউ অসদুপায় অবলম্বন করতে চায় তাহলে সে ধরা পড়ে যাবে।
পরীক্ষা কেন্দ্রের চারপাশে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এছাড়া পরীক্ষা ও প্রশ্ন বহনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেউ কোনো মোবাইল ফোনই ব্যবহার করতে পারছেন না। পরীক্ষার কাজে জড়িত নন এমন কেউ কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারছেন না। এমনকি এসব নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গের দায়ে সংশ্লিষ্টদের শাস্তির আওতায় আনার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
শিক্ষাবিদরা মনে করছেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে মন্ত্রণালয় যেসব উদ্যোগ নিচ্ছে তা প্রশংসনীয় এবং ইতিবাচক। যার ফলে এখন পর্যন্ত কোনো প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি। যারা প্রশ্নফাঁস নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে তারা স্বার্থান্বেষী মহল। তারা সরকার ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। তারা সমাজের কীট, অপরাধী। তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা অত্যাবশ্যক।
এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, নামমাত্র সংবাদ মাধ্যম অথবা যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন শাখায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে বলে যারা গুজব রটাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তাদের অনেককেই চিহ্নিত করা হয়েছে। এখন কেবল গ্রেফতারের অপেক্ষা।
+ There are no comments
Add yours