বিএনপির নতুন কর্মসূচি, আগ্রহ নেই তৃণমূলের

1 min read

নিউজ ডেস্ক : স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ১৫ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আগামী ২৮ মে থেকে ১১ জুন পর্যন্ত চলবে এই কর্মসূচি। বুধবার (২২ মে) নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ৩০ মে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, সকাল ৬টায় দলীয় কার্যালয়সহ সারা দেশে দলীয় পতাকা ও কালো পতাকা উত্তোলন, ড্যাবের উদ্যোগে নয়াপল্টনে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প এবং মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের উদ্যোগে দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ এবং ছাত্রদলের উদ্যোগে আলোকচিত্র প্রর্দশনী। ২৮ মে ইঞ্জিনিয়ার ইন্সটিটিউটে আলোচনা সভা। ৩১ মে নয়াপল্টনে দোয়া মাহফিলসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সভা, সেমিনার। কিন্তু এসব কর্মসূচিতে আগ্রহ নেই দলটির তৃণমূল নেতাকর্মীদের।

দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে দেশে আন্দোলনের নামে সহিংসতা চালিয়ে আসছে বিএনপি। ফেলছে একের পর এক লাশ। কোনো কিছুতেই সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে পারেনি উল্টো বেরিয়ে এসেছে সহিংসতার সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ। ফলে বেশ বেকায়দায় আছেন জড়িতরা। অথচ তাদের পক্ষে দলের আইনি লড়াইয়ের নেই কোনো পদক্ষেপ। এতে ভীষণ ক্ষুব্ধ তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। তাই জিয়াউর রহমান এবং দলীয় কর্মসূচী নিয়ে আগ্রহ নেই তৃণমূল নেতাকর্মীদের।

তৃণমূল নেতারা বলছেন, লড়াই-সংগ্রাম করলাম দলের কথায়। কিন্তু কি আশ্চর্য ব্যাপার, মামলা হওয়ার পরে আমাদের খোঁজ পর্যন্ত নেয়নি কেউ। বেঁচে আছি না মরে গেছি তাও জানতে চায়নি। এটা কী নেতৃত্বের নমুনা? তারেক রহমান কিংবা দলের শীর্ষ নেতারা কি চাইলেই পারতো না, আমাদের পাশে থাকতে? কিন্তু তারা কী সেটা করেছে? করেনি। এ থেকেই প্রমাণ হয়, তৃণমূল নেতাদের কোনো মূল্যায়ন নেই বিএনপিতে।

এ বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেখুন নেতৃত্বের দুর্বলতা সব রাজনৈতিক দলেই কম-বেশি আছে। আমাদেরও যে একেবারে নেই, এটাও অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে যে যে জায়গাগুলোতে সমস্যা, সেটা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে অচিরেই কেটে যাবে। ইতোমধ্যে এ নিয়ে আমাদের কয়েক দফা বৈঠকও হয়েছে। আশাকরি, দ্রুতই সুখবর মিলবে। তৃণমূলের নেতাকর্মীরাও আর অভিমান করে থাকবে না।

রাজনৈতিক বিজ্ঞজনরা বলছেন, রাখাল ভালো না হলে গরু-ছাগল যেমন দলছুট হয়ে যায়, তেমনি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব ঠিক না থাকলে সে দলের অস্তিত্ব দিনে দিনে বিলীন হতে থাকে। বিএনপি যার অন্যতম উদাহরণ।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours