নিউজ ডেস্ক : নিরীহ পাহাড়িদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কুকি চিন সন্ত্রাসী দমনে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে অভিযান চালাচ্ছে যৌথবাহিনী। সন্ত্রাসী ও অপরাধী ছাড়া কাউকেই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। কুকি চিন সন্ত্রাসী দমনের ক্ষেত্রে যেন পাহাড়ের কোনো বাসিন্দা হেনস্তার স্বীকার না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে সরকারের তরফ থেকেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেভাবেই অভিযান পরিচালনা করছে যৌথবাহিনীর সদস্যরা।
আর চলমান অভিযানে ব্যাকফুটে থাকা এই সন্ত্রাসীদের নিজেদের মধ্যে বিরোধিতার জেরে দুই জন কেএনএনফ সদস্য খুন হয়। যার দায় সেনাবাহিনীর উপর চাপাতে একের পর অপপ্রচার চালাচ্ছে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের মিডিয়া উইং।
এছাড়াও Kuki-Chin National Front- KNF এর নিজস্ব ফেসবুক পেজ থেকে অপপ্রচার চালানো হয়েছে- দার্জিলিং পাড়ার একটি পরিবারের সবাইকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী। কিন্তু এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি দার্জিলিং পাড়ায়। এ পর্যন্ত যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা সবাই সন্ত্রাসী সংগঠন কেএনএফের সক্রিয় সদস্য।
সম্প্রতি এই সন্ত্রাসী সংগঠন বান্দরবনে ভয়াবহ তাণ্ডব চালিয়ে ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র লুট এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর হামলা চালিয়ে নিজের শক্তিমত্তার জানান দেয়। শান্তি আলোচনা চলাকালীন সময়ে একেবারে হঠাৎ করে এমন ভয়াবহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশের সার্বভৌমত্বের উপর বড় ধরনের আক্রমণ করতে চেয়েছিলো এই সন্ত্রাসী সংগঠন কেএনএফ।
বহু আগে থেকেই পাহাড়ে ডাকাতি, চাঁদাবাজি, অপহরণ ও খুনের মতো অরাজক ঘটনা ঘটিয়ে আসছে এই বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীরা। তাই তাদের সমূলে উৎপাটন করে পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে এ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে অভিযান চালাচ্ছে যৌথবাহিনীর সদস্যরা। ফলে ব্যাকফুটে থাকা কেএনএফ এখন সেনাবাহিনীকে নিয়ে মিথ্যাচার করছে। মনে রাখতে হবে- সেনাবাহিনী সবসময় দেশের মানুষের কল্যাণে, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কাজ করে। বিশেষ করে পার্বত্যাঞ্চলের শান্তি প্রতিষ্ঠায় দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সঙ্গে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। তাই কোনো অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হওয়ার আগে সত্যটা জানার চেষ্টা করলেই এসব অপরাধীরা ব্যর্থ হবে। শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে পাহাড়ে।
+ There are no comments
Add yours