পলাতক তারেকের অপরিপক্ক নেতৃত্বের মাশুল দিচ্ছে বিএনপি

1 min read

নিউজ ডেস্ক : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পলাতক তারেক রহমান তার পছন্দের ব্যক্তিদেরকে দলে রাখছেন। যাদের অপছন্দ করেন তাদের দল থেকে বের করে দিচ্ছেন। সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে কোন নিয়মনীতি মানছেন না। গঠনতন্ত্রকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দলের ভেতর ভয়ঙ্কর এক আধিপত্য ধরে রেখেছেন তারেক রহমান। ফলে তার একের পর এক সিদ্ধান্তে টালমাটাল অবস্থা দলের। তাই নেতাকর্মীদের মাঝেও সৃষ্টি হয়েছে তীব্র অসন্তোষ এবং কোন্দল। সব মিলিয়ে দল হিসেবে মাশুল দিতে হচ্ছে বিএনপিকে।

সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন নির্বাচিত হয়েছিলেন। লন্ডন থেকে নির্দেশ এসেছিল দায়িত্ব গ্রহণ না করার। কিন্তু দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির পদটি গ্রহণ করেন। পরে তাকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। কিন্তু সেই অব্যাহতি শেষ পর্যন্ত টেকেনি। পুনরায় তাকে আবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি পদে থাকার নির্দেশ দেয় তারেক রহমান।

তারেক রহমানের এই সিদ্ধান্তে বিএনপির আইনজীবীদের একাংশ যারা মাহবুব উদ্দিন খোকনের বিরুদ্ধে তারা ক্ষুব্ধ হয়েছে। বিশেষ করে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আলীসহ সিনিয়র আইনজীবীরা। বিএনপির মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, মাহবুব উদ্দিন খোকন যদি নির্বাচন করে জয়লাভ করে দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারেন তাহলে উপজেলা নির্বাচনের বিএনপির প্রার্থীদের দোষ কোথায়?

দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নিয়ন্ত্রিত ড্যাব চিকিৎসকদের বিএমএ নির্বাচনও বর্জন করেছিল তারেক রহমান। প্রকৌশলীদের নির্বাচনেও বিএনপি সরে গিয়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে কেন অংশগ্রহণ করল বিএনপি? এটি যেমন একটি বড় প্রশ্ন, তার চেয়েও বড় প্রশ্ন হল- একই সিদ্ধান্ত একেক জনের ব্যাপারে একেক রকম কেন? এ নিয়ে বিএনপির নেতারা যারপরনাই ক্ষুব্ধ।

এ বিষয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদেরকে বলেছেন, ‘এই সমস্ত কীভাবে হচ্ছে আমি জানি না। আপনাদের যদি কোনও কিছু বলার থাকে আপনারা লন্ডনে যোগাযোগ করেন। এখন বিএনপিতে কেউ দায় নিতে চাচ্ছে না। কেউ জানছেও না যে কাকে কখন, কীভাবে বহিষ্কার করা হচ্ছে। যার ফলে এক ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে দলটির মধ্যে।’

উপজেলা নির্বাচনে যারা অংশগ্রহণ করায় দলটির অন্তত ৮০ জন নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। অথচ বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, উপজেলা নির্বাচন বা স্থানীয় সরকার নির্বাচন একটি নির্দলীয় ধরনের নির্বাচন। এই নির্বাচনে দলীয় প্রতীক তারা ব্যবহার করবে না।

অনেক বিএনপি নেতা মনে করেন, দলীয় প্রতীক ব্যবহার না করার সিদ্ধান্তটাই সঠিক ছিল। কিন্তু কেউ যদি ব্যক্তিগত উদ্যোগে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তাহলে সেটি তার নিজস্ব ব্যাপার। এজন্য দল থেকে বহিষ্কার করা বাঞ্ছনীয় নয়। দলের হাইকমান্ডের এমন ওলটপালট সিদ্ধান্তের ফলেই ১৭ বছরেরও বেশি সময় ক্ষমতার বাইরে বিএনপি। আর এমন অপরিপক্ক সিদ্ধান্তের কারণেই বিএনপির সিংহভাগ নেতাই এখন হাল ছেড়ে দিয়েছেন। তারেক রহমানের প্রতি তারা বিরক্ত। যার মাশুল দিতে হচ্ছে বিএনপিকে।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours