বাজার অস্থিতিশীল করতে সক্রিয় বিএনপিপন্থী সিন্ডিকেট

1 min read

নিউজ ডেস্ক : চলমান বৈশ্বিক পরিস্থিতি ও অর্থনৈতিক সংকট সারা বিশ্বকেই এক অস্থিরতার মধ্যে ফেলেছ। তার প্রভাব-প্রতিক্রিয়া অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পড়েছে। বিশেষ করে নিত্যপণ্যের বাজারে এর প্রভাবটি পড়েছে সরাসরি। তবে সরকার প্রভাব মোকাবিলা বা ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট করতে যথাযথ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। আমদানি শুল্কসহ বিভিন্ন পর্যায়ে ভর্তুকিসহ নানামুখী পদক্ষেপের মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে সরকার।

অন্যদিকে আন্দোলনে ব্যর্থতা এবং নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় বেকায়দায় থাকা বিএনপি এখন দেশে পর্যাপ্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য মজুদ থাকার পরও সারাদেশের বাজার পরিস্থিতি বেসামাল করার পাঁয়তারা করছে। দলটির শক্তিশালী সিন্ডিকেটই এ পরিস্থিতি তৈরি করেছে বলে জানিয়েছে বাজার সংশ্লিষ্ট সূত্র।

২০০১-০৬ বিএনপির-জামায়াতের শাসনামলে তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুন প্রথম বাজারে সিন্ডিকেট তৈরি করে প্রচুর টাকা হাতিয়ে নেয় এবং আড়তদারদের মধ্যে বিএনপি-জামায়াতপন্থীদের নিয়ে একটি সিন্ডিকেট তৈরি করেন। মামুনের তৈরি করা সেই সিন্ডিকেট এখনো বহাল রয়েছে।

ইতোমধ্যে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের তত্ত্বাবধানে দেশের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য দলটির তিন নেতাকে দায়িত্ব দেয়া হয় বলে প্রমাণ এসেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, খাতুনগঞ্জ, শ্যামবাজার ও কারওয়ান বাজারের বিএনপি-জামায়াতপন্থী আড়তদাররা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে দফায় দফায় তেল, ডাল, পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

সূত্র বলছে, খাতুনগঞ্জ নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে দেশের অর্ধেক বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যায়। খাতুনগঞ্জে আমীর খসরু মাহমুদের ভালো প্রভাব রয়েছে। এখানকার ব্যবসায়ীদের বড় একটি অংশ বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। এছাড়া ঢাকার শ্যামবাজার ও কারওয়ানবাজারে বিএনপিপন্থী ব্যবসায়ীদের শক্তিশালী সিন্ডিকেট সক্রিয়। আর এসব শক্তিশালী নেটওয়ার্ক কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে মূল্যবৃদ্ধি করে অধিক মুনাফা করছে। একই সঙ্গে দেশকে অস্থিতিশীল করার পাশাপাশি জনগণের কাছে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষণ্ণ করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপিপন্থী সিন্ডিকেট।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours