দেশের মূল গণতান্ত্রিক ধারা থেকে বিচ্যুত বিএনপি বহুদিন ধরেই নির্বাচন বর্জন ও সহিংসতার পথে হাঁটছে। দলের মূল নেতা বেগম জিয়া ও তারেক রহমান দুর্নীতির দায়ে অপরাধী সাব্যস্ত হয়েছে। বেগম জিয়া সাজা ভোগ করলেও পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তারেক। এমন অবস্থায় বারবার আন্দোলনের কথা বললেও মূলত তা ফাঁকা আওয়াজ ছাড়া আর কিছুই নয়। তাই দল গোছাতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে বিএনপির শীর্ষ নেতারা।
মূল নেতারা দলের সাথে সরাসরি যুক্ত না থাকায় নেতৃত্ব নিয়ে তাই দেখা দিয়েছে ধোঁয়াশা। লন্ডন থেকে তারেক রহমান বিভিন্নভাবে নানান নির্দেশনা দিলেও তা দলের সংকট তুলনায় বাস্তবসম্মত না। যে কারণে বারবার ব্যার্থ হচ্ছে বিএনপির আন্দোলন। এদিকে খালেদা জিয়া দেশে থাকলেও তিনি সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় সরাসরি দলের কাজে অংশ নিতে পারছেন না।
কিন্তু এই সময়ে নেতৃত্বের শূন্যতায় দলের মধ্যে দেখা দিয়েছে বিভক্তি। কিছু নেতা চাইছেন খালেদা জিয়াই আগের মত নেতৃত্ব দিক, কিন্তু সাজা হওয়ায় তা বাস্তবে সম্ভব হচ্ছেনা। অন্যদিকে অনেকেই চাচ্ছেন তারেক রহমান আসুক, তাদের মতে খালেদা জিয়া অসুস্থ-যে কোন সময় মারা যেতে পারেন। তাই নতুন নেতৃত্বের দিকেই তাদের চোখ। কিন্তু তাও সম্ভব না। কারণ সাজাপ্রাপ্ত তারেক দেশছাড়া। দেশে আসলেই জেল।
আর এসব নিয়েই এখন দলের মধ্যে একাধিক গ্রুপ সৃষ্টি হয়েছে। কেউ চাইছেন তারেক আর কেউ চাইছেন খালেদা। যার প্রভাবে দলের শীর্ষস্থান থেকে আসা সিদ্ধান্তগুলি অনেকে মানছেন অনেকে মানছেন না। যার ফলে কোন আন্দোলনকেই জুতসই করতে পারছে না দলটি।
এ প্রসঙ্গে দেশের একজন শীর্ষ রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, “কে নেতৃত্ব দেবেন আর নেতারা কার নেতৃত্ব মানবেন তা নিয়ে বিএনপির মধ্যে এখন মারত্মক রকমের বিভক্তি দেখা দিয়েছে। যেহেতু খালেদাও মুক্তি পাচ্ছেন না আর তারেকও দেশে আসবে না তাই বিএনপির ভবিষ্যৎ বলে আপাতত আর কিছুই অবশিষ্ট নেই।”
+ There are no comments
Add yours