যে কোনো মূল্যে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে চায় বিএনপি

0 min read

অর্থনৈতিক জীবনমান, সামাজিক নিরাপত্তা এবং সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ধারা সবকিছু মিলিয়ে দেশ যখন একটি স্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ঠিক তখনই একটি মহল দেশকে পেছনের দিকে টেনে ধরতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তথাকথিত গণতন্ত্রের লেবাসধারী এই রাজনৈতিক দলটি নিজেদের শাসনকালে সীমাহীন দুর্নীতি আর স্বেচ্ছাচারিতার কারণে দেশের মানুষের কাছে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে বারবার।

শুধু তাই নয়, নিজেদের খামখেয়ালি কারণে দলটি এখন রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হবার পথে। তবু থেমে নেই তাদের দেশবিরোধী হাজারটা ষড়যন্ত্র। দলের হাইকমান্ড থেকে শুরু করে জেলা পর্যায়ের সকল নেতারাই এসব কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িয়ে পড়ছে।

জানা গেছে, দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে আসা এক নির্দেশে যার যার পর্যায় থেকে যতটা সম্ভব সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় অস্থিরতা তৈরির জন্য বলা হয়েছে। আর এই নির্দেশ দিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

তারেক তার বক্তব্যে নির্দিষ্ট করে দেশের বাজার সিন্ডিকেট, পরিবহন সিন্ডিকেট, চাঁদাবাজি সিন্ডিকেট, দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা কয়েকশ আন্তঃজেলা ডাকাত দল, ঘাপটি মেরে পড়ে থাকা বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনগুলোকে তাদের তৎপরতা বাড়াতে নির্দেশ দেন। সেই সাথে দেশে বিএনপিপন্থী ব্যবসসায়ী এবং পরিবহন মালিকদের সাথেও আলাদা করে ভার্চ্যুয়ালি বৈঠক করেছেন তারেক রহমান। যার সবগুলোর উদ্দেশ্যই ছিল দেশে নতুন করে অরাজকতা সৃষ্টি করা।

সম্প্রতি পার্বত্য অঞ্চলে বিদ্রোহীদের হামলার ঘটনাগুলোতেও বিএনপির সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কারণ কেএনএফর কাছ থেকে প্রশিক্ষিত বশে কয়েকটি জঙ্গি গ্রুপের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের।

বিএনপি চাইছে যে কোনো মূল্যে দেশে অরাজকতার সৃষ্টি করে ঘোলা জলে মাছ শিকার করতে। আর তাই কখনো বাজার অস্থির করা, কখনো পরিবহন সংকট সৃষ্টি, আবার কখনো দেশের সার্বভৌমত্বের বাজি ধরে বিদ্রোহীদের দিয়ে হামলার মত জঘন্য কাজ করে যাচ্ছে দলটি।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, এসব কর্মকাণ্ডে তারা ক্ষমতায় তো যেতে পারবেই না বরং তাদের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বই নিশ্চিত করবে।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours