কেএনএফের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান, দুশ্চিন্তায় বিএনপি-জামায়াত

1 min read

নিউজ ডেস্ক : বান্দরবানে পাহাড়ের নতুন সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) বিরুদ্ধে যৌথ সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে। সেনাবাহিনী, র‌্যাব, বিজিবি ও পুলিশ যৌথভাবে এই অভিযান শুরু করেছে। এ খবর প্রকাশের পর থেকেই বিএনপি-জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে এক ধরনের অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। জানা গেছে, সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তাগ্রস্ত লন্ডনে পলাতক তারেক রহমান ও সাকা চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী। কারণ, এই পাহাড়ি সন্ত্রাসী সংগঠনটির পেছনে তাদের শত শত কোটি কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে।

সূত্র বলছে, নির্বাচনের আগে এই সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফের সহযোগিতায় পাহাড়ে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছিলো বিএনপি-জামায়াতের শীর্ষ নেতৃত্ব। যার তদারকি করেছিলেন হুম্মাম কাদের চৌধুরী। কিন্তু আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর শক্ত নজরদারির ফলে সফল হতে পারেনি তারা। তবুও থেমে থাকেনি বিএনপি-জামায়াতের সহযোগিতার হাত।

শুধু তাই নয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকা এই নাথান বমকে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন জঙ্গি এবং বিছিন্নতাবাদী সংগঠনের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করে দেন তারেক রহমান। সরকারবিরোধী আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে এই কেএনএফ-এর মাধ্যমেই দেশকে অশান্ত করার পরিকল্পনা করেছিলো বিএনপি-জামায়াত। সেই ধারাবাহিকতা থেকেই বান্দরবনের রুমা ও থানচির দুই ব্যাংকের তিন শাখায় হামলা, অস্ত্র লুট ও ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ। যার মাধ্যমে নিজেদের সক্ষমতা জানান দিয়েছে কেএনএফ।

তবে থেমে নেই যৌথ বাহিনী। র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম বিভাগের সহকারী পরিচালক খন্দকার আল মঈন জানান, কেএনএফ নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত এই যৌথ অভিযান চলবে। সন্ত্রাসীদের দমনে পাহাড়ে জঙ্গিবিরোধী অভিযানের মতো করেই সব ধরনের কৌশল অবলম্বন করা হবে। আর এ খবর শুনেই বিএনপি-জামায়াতের শীর্ষ নেতারা মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে। কারণ, এ অভিযানের মধ্যে দিয়ে তাদের আরও একটি দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হওয়ার পথে।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours