আঞ্চলিক নিরাপত্তায় হুমকি ‘কুকি চিন’

1 min read

নিউজ ডেস্ক : বম, কুকি, চিন, নাগা বা মিজো যে নামেই ডাকা হোক না কেন, এই জনগোষ্ঠীর লোকজন বৃহত্তর কুকি চিন নাগা নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীরই অন্তর্ভুক্ত। ভারত ও মিয়ানমারে কুকি চিন সশস্ত্র সংগঠনগুলোর সশস্ত্র তৎপরতায় আতঙ্কিত বাংলাদেশ। সম্প্রতি দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা করেছে কুকি চিনের সশস্ত্র সদস্যরা। বাংলাদেশের সেনা সদস্যদের রক্তও ঝরেছে তাদের হাতে। এমনকি বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠনগুলোর সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেয়ার সঙ্গেও কুকি চিনের সম্পৃক্ততা মিলেছে।

তবে বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে কুকি চিনের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সর্বশেষ তৎপরতা ছাড়িয়ে গেছে তাদের অতীতের সব রেকর্ড। দিনদুপুরে ব্যাংক ডাকাতি, ম্যানেজারকে অপহরণের পাশাপাশি পুলিশ-আনসারের বিপুল পরিমাণ অস্ত্র লুট করে তারা জানান দিলো- শান্তি নয় সংঘাত চায় তারা।

শুধু বাংলাদেশই নয় কুকি চিনের কারণে দীর্ঘদিন ধরে অশান্তির আগুনে পুড়ছে ভারতের অঙ্গরাজ্য মনিপুর। সেখানে স্থানীয় প্রশাসন ও ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে স্থানীয় কুকি, নাগা বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলো। বান্দরবানের সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের চিন প্রদেশেও সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র তৎপরতা চালিয়ে আসছে স্থানীয় কুকি চিন জনগোষ্ঠী। তাই বলার অপেক্ষা রাখে না, এই সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

পাহাড়ে জঙ্গি প্রশিক্ষণে মদত এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে একাধিকবার সংঘর্ষেও লিপ্ত হয় সংগঠনটি। পাশাপাশি নিজেদের সামরিক অবস্থান জানান দিতে শুরু থেকেই পাহাড়ে সশস্ত্র অবস্থানে রয়েছে তারা। মিয়ানমারে সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে কুকি চিন বিদ্রোহীরাও। আর বান্দরবান সীমান্তের মিয়ানমারের চিন প্রদেশ তাদের শক্তিশালী ঘাঁটি। এর মধ্যেই হঠাৎ করে থানচি ও রুমার ব্যাংকগুলোতে ডাকাতি এবং থানচি উপজেলা সদরে ঘণ্টাখানেক সশস্ত্র অবস্থান–বড় ধরনের কোনো পরিকল্পনা নিয়েই কাজ করছে সংগঠনটি বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।

তারা বলছেন, কুকি চিন নামধারী সশস্ত্র গোষ্ঠীর এসব বেপরোয়া কর্মকাণ্ডে পার্বত্য অঞ্চলের জনজীবনে নিরাপত্তা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হওয়ার পাশাপাশি এসব সংগঠন দেশের সার্বভৌমত্বের জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই পার্বত্যাঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সঙ্গে সঙ্গে আঞ্চলিক নিরাপত্তা জোরদারে দক্ষিণ এশিয়ার সংশিষ্ট দেশগুলোকে সাথে নিয়ে এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ অভিযান শুরু করা এখন সময়ের দাবি।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours