বিএনপিকে বর্জন করেছে প্রভাবশালী কূটনীতিকরা

1 min read

নিউজ ডেস্ক : ৭ জানুয়ারির নির্বাচন নির্বিঘ্নে হয়ে যাওয়ার পর বিএনপি অনেকটাই দিশেহারা। বিশেষ করে চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, স্পেনসহ পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলোর দ্রুত অভিনন্দন বার্তা পাঠানো বিএনপির রাজনীতিতে বড় কূটনৈতিক ধাক্কা। শুধু তাই নয়, প্রভাবশালী কূটনৈতিকরা বিএনপিকে বর্জন করতে শুরু করেছে।

বিএনপি নেতারা নির্বাচনের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেবে। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেয়নি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বরং নির্বাচনের আগে বিএনপির কাছে ‌‌‘ভগবান’ হয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এখন যেন সরকারের তোষামোদে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

এক কথায় বলতে গেলে বিএনপির সাথে ‘পল্টি’ মেরেছেন পিটার হাস। এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চিঠি লিখে সরকারের সাথে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এরপর থেকেই নাজুক বিএনপির অবস্থা আরও নাজুক হওয়া শুরু হয়েছে। বিদেশি মুরব্বি, শরিক, মিত্র একে একে সবাই ছেড়ে যাচ্ছে বিএনপিকে।

বিএনপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নও হেঁটেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দেখানো পথে। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সম্প্রতি ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেছেন, আগামী পাঁচ বছরে নতুন সরকারের মেয়াদে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের মাত্রার গুণগত পরিবর্তন হবে। অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা চুক্তির আলোকে পরিচালিত ওই সম্পর্ক হবে অনেক বেশি রাজনৈতিক।

জানা গেছে, বিএনপির কোনো আমন্ত্রণেই এখন সাড়া দিচ্ছে না প্রভাবশালী কূটনীতিকরা। সম্প্রতি বিএনপির ইফতার প্রোগ্রামে দাওয়াত দিলেও আসেননি রাশিয়া, চীন অস্ট্রেলিয়ার কূটনীতিকরা। আর প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ভারতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক তলানিতে।

বাংলাদেশে প্রভাবশালী দেশ হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন ও ভারত এবং অস্ট্রেলিয়াকে বিবেচনা করা হয়। এক্ষেত্রে রাশিয়া, চীন ও ভারতের সঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বেশ সুসম্পর্ক রয়েছে। অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিএনপির সুসম্পর্ক থাকলেও সম্প্রতি নানা কারণে সেখানে ফাটল ধরেছে। যার মূলে রয়েছে- দলটির পলাতক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দুর্নীতিবাজ তারেক রহমানের অপরিপক্ক নেতৃত্ব এবং ক্ষমতা দখলের লোভ।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours