নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই এদেশে ভারতবিরোধী একটি পক্ষ সক্রিয়। তারা মনে করেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের কারণেই তাদের ‘পেয়ারে পাকিস্তানের পরাজয়’ হয়েছে। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পেরুলেও ভারতবিরোধী পক্ষটি এখনও সক্রিয়, আগের চেয়ে শক্তিশালী। আর সেই পক্ষটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। কারণ, ভেতরে ভেতরে তারাও পাকিস্তানপন্থী।
স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতকে সাথে নিয়ে ভারতবিরোধী অপরাজনীতি শুরু করেছে বিএনপি। দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রকাশ্যে তার ভারতীয় চাদর ছুঁড়ে ফেলে পাকিস্তান প্রেম প্রকাশ করেন। এরপর থেকেই শুরু হয় দেশের রাজনীতিতে বিএনপির কানাগলিতে হাঁটা।
রিজভীর ভারতীয় চাদর ছুড়ে ফেলার ঘটনাটি বিএনপির ভেতরে নানা আলোচনার সৃষ্টি করে। দলের স্থায়ী কমিটির সর্বশেষ বৈঠকের আলোচনায়ও বিষয়টি উঠে এসেছে। দায়িত্বশীল পদে থেকে রিজভীর এ ধরনের কর্মকাণ্ড শোভনীয় হয়নি বলে মনে করে স্থায়ী কমিটি। জানা গেছে, পরদিনই বিএনপির ইফতার প্রোগ্রামে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানিয়ে তার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন রুহুল কবির রিজভী।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতের বিরোধিতা করলে রাজনৈকভাবে বিএনপিই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কেননা, এখন বাংলাদেশসহ পুরো বিশ্ব একটি পরিবারে বসবাস করে। বিশ্বায়নের এই যুগে কোন দেশই নিজস্ব পণ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ না। একটি দেশের নিজস্ব কিছু পণ্য থাকে আর বাকিটা চাহিদা অনুযায়ী আমদানি করতে হয়। যেমন, কোলগেট টুথপেস্ট এর কথাই যদি ধরা যায়, সেটি ভারতে পণ্য। তবে এটি একটি বহুজাতিক কোম্পানি। আবার বাংলাদেশের মতো একটি দেশ যদি ভারতীয় পণ্য বর্জন করে তাহলে কতগুলো ক্ষেত্রে চরম সংকট এবং দুর্দশা তৈরি হবে। পেঁয়াজের কথাই ধরা যাক কিংবা চিনির কথাই ধরা যাক। ভারতের পেঁয়াজ, ভারতের চিনি না আসলে বাংলাদেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হবে তা কল্পনা করা যায় না।
কাজেই যারা ভারত বিরোধিতার করছেন তারা সেই পরাজিত পাকিস্তানের রেখে যাওয়া বীজ। যারা দেশের সবকিছুই ভোগ করে কিন্তু দেশের ক্ষতি করতে সব সময় ষড়যন্ত্র করতে থাকে।
+ There are no comments
Add yours