কমোডিটি এক্সচেঞ্জে বদলে যাবে শিল্প বাণিজ্য

1 min read

প্রথমবারের মতো কমোডিটি এক্সচেঞ্জের সনদ পেয়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। এ এক্সচেঞ্জ চলতি বছরেই চালু করতে চায় সংস্থাটি। এতে বদলে যাবে দেশের শিল্প-বাণিজ্য। এর মাধ্যমে বাজারে আন্ডার ইনভয়েসিং ওভার ইনভয়েসিং কমবে, মধ্যস্থতাকারীদের দৌরাত্ম্য কমবে এবং পণ্যের সঠিক মূল্য দেখতে পাবেন ক্রেতারা। গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সিকিউরিটিজ কমিশন ভবনের মাল্টিপারপাস হলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসির (সিএসই) চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিমের হাতে এ সনদ তুলে দেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিডিবিএল চেয়ারম্যান শেখ কবির আহমেদ ও বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, কমোডিটি এক্সচেঞ্জ তাঁর অনেক দিনের ব্যক্তিগত স্বপ্ন ছিল। সিএসইর চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম যখন দায়িত্ব নেন তখন তাকে তিনি একটি কথাই বলেছিলেন, শুধু ইক্যুইটি দিয়ে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ ফিজিবল করা সম্ভব নয়, অন্ততপক্ষে সেবা হিসেবে হলেও সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনে কমোডিটির জন্য যেন যান। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আশা করি যিনি সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনের নেতৃত্বে আছেন তিনি উদার দৃষ্টিতে দেখলে একটি নতুন দিক উন্মোচিত হবে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কমোডিটি এক্সচেঞ্জের একটি নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। আজ আমরা প্রাইজ ডিসকভারি নিয়ে চিন্তা করছি, প্রাইজ যৌক্তিক মূল্য খুঁজছি। এ জায়গাটায় একটা বিশাল ভূমিকা রাখতে পারবে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ। বিশেষ করে আলু, চিনি ও তেল এ তিনটি দিয়ে এ বছরেই কমোডিটি এক্সচেঞ্জ শুরু করা যেতে পারে। প্রথমে নন ডেলিভারি এবং পরে ডেলিভারি দিয়ে শুরু করা যায়। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, গোল্ড এক্সচেঞ্জ নিয়ে ২০১৩ সালে আমরা প্যান এশিয়ার সঙ্গে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ একটি সমঝোতা স্মারক সই করেছিলাম। এর মাধ্যমে আমরা গোল্ড এক্সচেঞ্জ করতে পারি, এর সম্ভাবনা অনেক। প্রতিমন্ত্রী মনে করেন, বিশেষ করে অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি, মার্চেন্ট ব্যাংক যারা ডাইভারসিফাইড পোর্টফোলিওর জন্য এটাও একটি ব্যালান্স হিসেবে কাজ করবে। কারণ এখানে ফিউচার থাকবে ফরওয়ার্ড মার্কেট থাকবে, এখানে হেজিং করার সুযোগ থাকবে। সুতরাং অনেক পথ উন্মোচিত হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বিএসইসির অধীনে স্টেকহোল্ডাররা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে দেশ ও পুঁজিবাজার এগিয়ে যাবে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, কমোডিটি এক্সচেঞ্জ একটি মিসিং কম্পনেন্ট ছিল। যেটা পৃথিবীর অন্যান্য দেশে আছে। যারা ব্যবসা-বাণিজ্য করেন, যারা এক্সপোর্ট করেন ইমপোর্টকে গুরুত্ব দেন তাদের জন্য এটা জরুরি। এটার মাধ্যমে এক্সপোর্ট, ইমপোর্টের রাইট প্রাইস, মধ্যস্থতাকারীদের দূরত্ব কমা, আন্ডার ইনভয়েস, ওভার ইনভয়েসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। এর মাধ্যমে এক্সপোর্ট, ইমপোর্টে ডিসিপ্লিন তৈরি হবে । সামনের দিনগুলোয় ব্যবসা-বাণিজ্য অনেক সহজ হয়ে আসবে। যারা ক্রেতা তারা পণ্যের বিশ্ববাজারে কেমন দাম আছে তা জানতে পারবেন।

অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম বলেন, লাইসেন্স পাওয়ার পরপরই আমরা মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জ ইন্ডিয়ায় যারা এক্সপার্ট আছেন তাদের টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজর হিসেবে নিয়োগ করি। তারা আমাদের যে রুলস দিয়েছেন তাও আমরা জমা দিয়েছি। বর্তমানে আমাদের সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার প্রকিউরমেন্টের কাজ এগিয়ে যাচ্ছে।

বিশেষ অতিথি শেখ কবির বলেন, বঙ্গবন্ধু শিশুদের খুব ভালোবাসতেন এ জন্য তার জন্মদিনকে শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ হতো কি না সেটা আমার সন্দেহ বলেও তিনি উল্লেখ করেন। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও শিশু দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী পাঁচজনকে বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকরি দেওয়া হয়।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours