কারো আয় অস্বাভাবিক বেড়ে গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে : ওবায়দুল কাদের

কারো আয় অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, অস্বাভাবিকভাবে কারো আয় দৃষ্টিকটু মনে হলে সেটা তো এই মুহূর্তে সরকারের করণীয় নেই। এখন সরকার রুটিন ওয়ার্ক করছে। সময়মতো দেখবেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নেবেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

প্রার্থীদের আয় অনেকের বেড়েছে―এমন প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমি এভাবে প্রার্থীর সম্পর্কে বলতে চাই না। কিছু বলার থাকলে পরবর্তী সময়ে কোনো ফোরামে সুযোগ হলে অবশ্যই বলব।

’আওয়ামী লীগ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হলে আগামী পাঁচ বছরে এক কোটি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখনকার বার্নিং ইস্যু দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য সরকার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রতিশ্রুতি আছে। পাঁচ বছরে এক কোটি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। বছরে ২০ লাখ।

এটা আমাদের লক্ষ্য।’
তিনি বলেন, ‘ব্যাংক ও আর্থিক খাতে সক্ষমতা বৃদ্ধি ও শিল্পের প্রসার ঘটানো, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যকারিতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা, জঙ্গিবাদ রোধ এবং সর্বাত্মক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার চর্চা ও প্রসার ঘটানো আমাদের অগ্রাধিকার লক্ষ্য।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ভুল হলে ভুল থেকে শিক্ষা নেব―শেখ হাসিনা তাঁর এ বক্তব্যে যে সৎ সাহস দেখিয়েছেন, এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। একজন প্রধানমন্ত্রী এত উন্নয়নের পরও এটা বলছেন। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে, আমার কোনো ভুল নেই, দেশ পরিচালনায় সব কিছু সঠিক করেছি―এমন বাগাড়ম্বর উনি পেশ করেননি।

’বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, জনসমর্থন না থাকায় বিএনপির আন্দোলনে মরচে ধরে গেছে। জনসমর্থন থাকলে সরকার উৎখাত করতে কোনো দলকে চোরাগোপ্তা হামলা করতে হতো না।

এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ও উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours