চিকিৎসা নাকি ষড়যন্ত্রের উদ্দেশ্যে সিঙ্গাপুর গমন?

1 min read

নিউজ ডেস্ক : হঠাৎই অসুস্থতার অযুহাতে সিঙ্গাপুর পাড়ি জমাচ্ছেন বিএনপি নেতারা। নির্দিষ্ট ষড়যন্ত্রের অংশ স্বরূপ একমাস আগেই সিঙ্গাপুরে পাড়ি জমান দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এরপর সপরিবারে সিঙ্গাপুর যান দলের মহাসচিব। মির্জা ফখরুলের সিঙ্গাপুর গমনের পরপরই দলের ওপর স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসও গেলেন সিঙ্গাপুর।

দায়িত্বশীল সূত্রের তথ্যমতে, দীর্ঘদিন ধরে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দলীয় রাজনীতি থেকে দূরে আছেন। সাংগঠনিক দেখভাল ও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত লন্ডনে পলাতক ফেরারি আসামি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানই নিচ্ছেন। তবে তা আড়াল থেকেই। তার গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও তারেকের ‘ডান হাত’ খ্যাত রুহুল কবির রিজভীর মাধ্যমে পৌঁছাচ্ছে দলীয় মহাসচিব মির্জা ফখরুলের কাছে। তিনিই সেগুলোর দৃশ্যমান বাস্তবায়ন করছেন। এমন সময় ফখরুল কাউকে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব না দিয়েই নিজ স্বার্থে গোপনে সিঙ্গাপুর গেছেন। সঙ্গী আছেন মোশাররফ ও আব্বাস। এ নিয়ে দলের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, ফখরুল কি শুধু স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গেছেন নাকি তার অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে?

তবে বিষয়টি নিয়ে মির্জা ফখরুল ও আব্বাসের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে ভিন্ন কথা। তারা বলছেন, শুধুমাত্র নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্যই এই সিঙ্গাপুর যাত্রা। ঘটনার ভিন্ন রং দেয়ার কোন মানে নেই। যারা এ নিয়ে নেতিবাচক কথা বলবেন, বুঝতে হবে তারা নিজের স্বার্থেই এমনটা বলছেন।

বিএনপির এই তিন নেতার হঠাৎ সিঙ্গাপুর যাওয়ার বিষয়টিকে স্বাভাবিকভাবে দেখছেন না দলীয় নেতৃবৃন্দ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতাকর্মী জানান, দ্বাদশ নির্বাচন নিয়ে তৃনমূল নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিলেও দলীয় মহাসচিব মির্জা ফখরুলের তেমন আগ্রহ পরিলক্ষিত হচ্ছে না। এমনকি দলের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করার কথা থাকলেও সেখানে দেখা যাচ্ছে গড়িমসির চিত্র।

এমতাবস্থায় তার দীর্ঘ বিদেশে অবস্থান প্রার্থীদের দুর্বল বৈ অন্যকিছু করবে না। এমনকি তা পরিণত হতে পারে পরাজয়ের কারণেও। তাই তার মতো ব্যক্তির কাছ থেকে দায়িত্বহীনতার এমন পরিচয় প্রাপ্তি কারোরই কাম্য ছিলো না।

রাজনৈতিক বিজ্ঞজনরা বলছেন, নিজেদের আখের গোছাতেই পূর্ব পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ফখরুল-আব্বাস সিঙ্গাপুর গিয়েছেন। কারণ, নানা ঘটনায় এই দুই সিনিয়র নেতা অতিমাত্রায় ক্ষুব্ধ। কিন্তু নিয়ন্ত্রণ তারেক রহমানের হাতে থাকায় মুখের উপর কিছু বলতে পারছেন না তারা। তাই কৌশল করেই নিজেদের সুপ্ত পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অগ্রসর হয়েছেন তারা।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours