বিএনপির ভবিষ্যৎ অন্ধকার

1 min read

খালেদা দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হওয়ার পর সরকারের অনুকম্পায় কারাগারের বাইরে আছেন। আর তার বড় ছেলে তারেক রহমান বর্তমানে লন্ডনে পলাতক। সাজাপ্রাপ্ত আসামি হওয়ার কারণে তারা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য।

যে কারণে বিএনপির ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। খালেদা জিয়ার পর দলটি গভীর অনিশ্চয়তায় পড়বে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজা হলে কারাজীবন শুরু হয় খালেদা জিয়ার। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও তার সাজার রায় হয়। পরে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সাময়িক মুক্তি মেলার পর থেকে তিনি গুলশানের বাসাতেই থাকছেন।

তার সাজা স্থগিতের বিনিময়ে শর্ত দেয়া হয় যে, মুক্ত থাকার সময়ে খালেদা জিয়াকে ঢাকায় নিজের বাসায় থাকবেন এবং তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না।

দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য

২০০১ থেকে ২০০৬ সাল। ক্ষমতায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। প্রধানমন্ত্রী ছিলেন খালেদা জিয়া। পুরো সময়টিতে দুর্নীতির ছড়াছড়ি ছিল বাংলাদেশে। দুর্নীতির মাত্রা এতই বেশি ছিল যে, দুর্নীতিতে পরপর পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হয় ৩০ লাখ শহীদের বিনিময়ে স্বাধীন হওয়া এ দেশ। দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) প্রতি বছরই দুর্নীতির এই সূচক প্রকাশ করে।

দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সাজা হওয়ার পর বিএনপিকে দুর্নীতিবাজদের দল হিসেবে আখ্যা দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। এরপর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় রায়ের পর বিএনপিকে সন্ত্রাসী ও খুনিদের দল বলে জোরেশোরে প্রচার করা হয়।

বিএনপি আমলে পত্রিকা খুললেই শোনা যেত দুর্নীতির খবর। দুর্নীতির এই সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রিত হতো খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানের হাওয়া ভবন থেকে। সেই সময় ক্ষমতায় পদস্থ কর্মকর্তারা দুর্নীতির মাধ্যমে আয় করা টাকার ভাগ নিতেন। খালেদা জিয়া, তার দুই পুত্র তারেক রহমান ও প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর দুর্নীতি কারণে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে খুব বাজেভাবে পরিচিতি পেতে হয়েছিল। সবচেয়ে বড় কথা, এতে বহুবছর ধরে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়।

বিএনপির এখনকার নেতৃত্বের শীর্ষে আছেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান। আর দুজনেই দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামি। যে কারণে তারা কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। বলা যায়, এ কারণে আগামী নির্বাচনের জন্য দলকে প্রস্তুত করতে তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। বরং সরকারকে উৎখাতে তারা রাস্তাঘাটে প্রকাশ্যে সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছেন। অথচ একটি নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে হলে একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচনের বিকল্প নেই। কিন্তু বিএনপি নেতৃত্ব সেই পথে হাঁটতে অনীহা প্রকাশ করছেন।

প্রখ্যাত গবেষক অজয় দাশগুপ্ত সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এখানে ষড়যন্ত্র খুবই পরিষ্কার–জোর করে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে বিচারিক রায়গুলো নিজেদের অনুকূলে নিতে কিংবা মামলা খারিজ করতে বিচারবিভাগকে পছন্দমতো সাজিয়ে নেয়াই তাদের উদ্দেশ্য, যাতে তারা নেতৃত্ব চালিয়ে যেতে পারেন।

খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিএনপির নেতৃত্ব চালিয়ে যাওয়া নৈতিকতার চরম লঙ্ঘন বলে মনে করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান।

এদিকে জানুয়ারির শুরুতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণী জোবাইদা রহমানের স্থাবর-অস্থাবর সব সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তাদের বিরুদ্ধে এই মামলাটি করেছিল।

এতিমদের টাকা আত্মসাতের দায়ে খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পর থেকে লন্ডনে বসে দল পরিচালনার দায়িত্ব নেন তারেক রহমান। এরপর থেকেই দলটিতে বিপর্যয় শুরু হয়। সরকারবিরোধী আন্দোলনে জনসমর্থন না থাকায় তারা ঘুরে দাঁড়াতে পারছেন না। আর বিএনপিতে বর্তমান সংকট এমন এক সময়ে দেখা দিয়েছে, যখন তারা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার হটাতে সর্বাত্মক আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছে। যদিও তাতে তারা ব্যর্থতা ছাড়া কিছু ঘরে তুলতে পারছেন না।

কেউ দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত হলে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কিনা; আইনই তা বলে দেবে। এটি আদালত ও বিচারের বিষয়। কিন্তু বিএনপি যখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলছে, তখন দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত কাউকে দিয়ে দল পরিচালনা করা নৈতিক অধঃপতনই।

বিএনপি শাসনামলে দুর্নীতিতে ছেয়ে গিয়েছিল পুরো দেশ। আদালতের রায়গুলোই বলে দিচ্ছে যে তারা কী পরিমাণ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত ছিলেন। টিআইবির সূচক অনুসারে, খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে দুর্নীতিতে পরপর পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কুখ্যাতি অর্জন করে বাংলাদেশ। যা ছিল বাংলাদেশের অন্যতম লজ্জাজনক অধ্যায়।

২০০৬ সালে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার প্রধান খবরের শিরোনাম ছিল এমন: ‘দুর্নীতি কমেনি, লজ্জা কমেছে’। এরআগে ২০০৫ সালের ১৯ অক্টোবর পত্রিকাটির প্রধান খবরের শিরেনাম ছিল, ‘খবরটি লজ্জার অপমানের’। তখন ট্রান্সপারেন্সির সূচকে বাংলাদেশ টানা পঞ্চমবার শীর্ষ দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিল। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমেও সেই খবর ফলাও করে প্রচার হয়েছিল।

সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এমন মন্তব্য করেছেন এই মানবাধিকারকর্মী। তার কাছে বিএনপির ২৭ দফায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান ও দলের নেতৃত্বে আদালতের রায়ে সাজাপ্রাপ্তদের রাখা প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হয়েছিল।

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, তারা (বিএনপি) দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলছে, আবার সাজাপ্রাপ্তদের দিয়ে দল পরিচালনা করছে। এটা সাংঘর্ষিক ও নৈতিক অবক্ষয়ের পরিচয়। সব দেশেই রাজনৈতিক পদ্ধতি হলো—যারা যখন ক্ষমতায় থাকে, তারা নিজেদের দণ্ডিত মনে করে না। প্রতিপক্ষ দুর্নীতি করে (বলে মনে করে)। আর যখন প্রতিপক্ষ ক্ষমতায় থাকে, তখন তারাও এভাবে ভাবে। তারা (প্রতিপক্ষ) ক্ষমতায় এলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে বলে। এটা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মতো আমাদের দেশেরও রাজনৈতিক সংস্কৃতির অংশ।

তার মতে, বিএনপির ২৭ দফা ঘোষণায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থানের কথা বলা হলেও তাদের নেতৃত্বের শীর্ষে আদালতের রায়ে সাজাপ্রাপ্তদের রাখা ‌‌সাংঘর্ষিক ও নৈতিক অবক্ষয়।

গেল ১৯ ডিসেম্বর টানা দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী পদে দায়িত্ব পালন না করার নিয়ম চালুসহ বর্তমান রাষ্ট্রব্যবস্থা বদলে ফেলতে ২৭ দফা কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেছে বিএনপি। যেটিকে ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা’ বলছে দলটি।

এর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার নির্বাহী ক্ষমতায় ভারসাম্য আনা, উচ্চকক্ষের আইনসভা চালুসহ সংবিধানে গণভোট ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন এবং এক বছর বেকার ভাতা দেয়ার কথা বলেছে দলটি।
বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের পর গত ১০ ডিসেম্বর গোলাপবাগ মাঠে ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ থেকে এ রূপরেখা দেয়ার কথা জানানো হয়।

প্রশ্ন রেখে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘তারা (বিএনপি) ২৭ দফা বাস্তবায়নের জন্য সক্ষমতা রাখে? তাদের দলের যে ইতিহাস, তাদের যে অভিজ্ঞতা, তাদের সঙ্গে জনগণের যে অভিজ্ঞতা, সেটা বিবেচনায় নিলে বলা যায়, অনেক রাজনৈতিক দল ইশতেহার তৈরি করে, সেটা ক্ষমতায় গেলে চিত্রটা অন্যরকম হয়। সে হিসেবে এটা একটা উইশ লিস্ট।’

খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত এবং তারেক রহমান দণ্ডিত আসামি। আইনের দৃষ্টিতে তারা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য। এ সম্পর্কে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, অভিযোগ হয়েছে এটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় না। বিষয় হলো অভিযোগগুলো আদালতে প্রমাণিত হয়েছে কি-না।

‘যেহেতু আদালত থেকে তারেক রহমানের সম্পত্তি ক্রোকের কথা বলা হয়েছে ও খালেদা জিয়ার সাজা হয়েছে। এরপরও তারা দলের নেতৃত্বে রয়েছে। এটা তাদের দলের নৈতিক অবক্ষয়ের দৃষ্টান্ত,’ যোগ করেন ইফতেখারুজ্জামান।

তিনি বলেন, যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বা হচ্ছে, তারা নির্বাচনে যেতে পারবেন কি-না, সেটারও সুনির্দিষ্ট আইন আছে। আইনের দৃষ্টিতে যে সাজাপ্রাপ্ত, সে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না ও জনপ্রতিনিধি হতে পারবে না। সে হিসেবে তারা তো ক্ষমতায় যেতে পারবে না।

‘এটা আদালত ও বিচারের বিষয়। নৈতিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আমি বলবো, এটা তাদের সাংঘর্ষিক অবস্থান। তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলছে, আবার সাজাপ্রাপ্তদের দিয়ে দল পরিচালনা করছে,’ বলেন এই দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনকারী।

বিএনপি শাসনামালে দুর্নীতির কারণে ৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ বাতিল করেছিল ভারতীয় বহুজাতিক কোম্পানি টাটা গোষ্ঠী। কোম্পানিটি বাংলাদেশে এই বিনিয়োগ প্রস্তাব দিয়েছিল ২০০৪ সালে।। এরপর থেকে দফায় দফায় তারা বাংলাদেশের বিনিয়োগ বোর্ডের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা চালিয়েছে।

তারেক রহমানের ঘুষের প্রস্তাব পাওয়ার পরই বাংলাদেশ থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় টাটা।

সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফাইড অ্যাকাউন্টে দেয়া এক পোস্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, তারেক রহমান ও তার বন্ধু গিয়াসউদ্দিন মামুনের লাগামহীন দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশের বিনিয়োগ খাতকে ব্যাপক খেসারত দিতে হয়েছে। মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন বহু বিদেশি বিনিয়োগকারী। ডেইলি স্টারের খবর এমন তথ্য দিয়েছে।

সে সময় টাটার পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভায় তারেক এবং তার ডানহাত খ্যাত গিয়াসউদ্দিন মামুন ও সিলভার সেলিম রতন টাটার সাথে আলাদাভাবে একান্ত বৈঠক দাবি করেন।

এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তখন বাকি পরিচালকরা উঠে যান। পরে রতন টাটার সামনে ঝেড়ে কাশেন গিয়াসউদ্দিন মামুন। এ সময় তিনি রতন টাটাকে ১০ শতাংশ কমিশনের প্রস্তাব দেন। কিন্তু এ প্রস্তাব শোনা মাত্র টাটার মালিক তা প্রত্যাখ্যান করেন। কিন্তু দাবিতে অনড় থাকেন তারেক।

এক পর্যায়ে রতন টাটা গিয়াসউদ্দিনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য তলব করে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও দুবাইয়ের থাকা বিভিন্ন ব্যাংকে লেনদেনের হদিস পান। জয় তার ফেসবুক পোস্টে জানান, একান্ত বৈঠকে গিয়াসউদ্দিন প্রথম দফায় ২০০ কোটি ও পরে জাতীয় নির্বাচন বাবদ আরও ১০০ কোটি টাকা দাবি করেন।

ওই বৈঠকের পর রতন টাটা ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বরাবর এক চিঠিতে তারেক ও গিয়াস উদ্দিন মামুনের এই ঘুষ চাওয়ার ঘটনা ফাঁস করে দেন।

২০১১ সালে তাদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের তদন্ত সংস্থা এফবিআইয়ের কর্মকর্তা ডেবরা লেপ্রোভেট। ২০ কোটি ৪১ লাখ টাকা পাচারের দায়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামলায় সাক্ষ্য দেন ডেবরা।

বাংলাদেশে এই প্রথম কারও বিরুদ্ধে কোনো এফবিআই কর্মকর্তা সাক্ষ্য দিয়েছেন। গিয়াসউদ্দিন মামুনের ব্যাংক হিসাব ব্যবহার করে তারেক রহমান সিঙ্গাপুরের ব্যাংকে অর্থপাচার করেছেন বলে সাক্ষ্য দেন এফবিআই এজেন্ট।

বাংলাদেশে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টি লিখেছেন, অর্থ আত্মসাত ও দুর্নীতির যে সাম্রাজ্য তারেক রহমান গড়ে তুলেছেন, তাতে বাংলাদেশে মার্কিন ব্যবসা সরাসরি অপূরণীয় ক্ষতির মুখে পড়েছে। এতে অনেক সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে বাংলাদেশ।

২০০৮ সালের ৩ নভেম্বর মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এমন গোপন বার্তা পাঠিয়েছিল তিনি।

উইকিলিকসের ফাঁস করা কেবল থেকে জানা গেছে বার্তায় মরিয়ার্টি লিখেছেন, তিনি (তারেক রহমান) কোটি কোটি টাকা সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। এতে উদার ও মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটিতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নষ্ট হয়েছে। এছাড়া একটি গণতান্ত্রিক স্থিতিশীল সরকার গঠনে মার্কিন চেষ্টাও ব্যাহত হয়েছে। কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলটিতে যা যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি লক্ষ্য।

তারেক রহমানের প্রকাশ্য দুর্নীতি মার্কিন সরকারের তিনটি লক্ষ্যকে প্রচণ্ডভাবে হুমকির সম্মুখীন করেছে। আইনের প্রতি তার প্রকাশ্য অশ্রদ্ধা বাংলাদেশে জঙ্গিদের মূল শক্ত করতে সহায়তা করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি লক্ষ্য হচ্ছে- গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, উন্নয়ন এবং জঙ্গিবাদ নির্মূল করা।

দুর্নীতির কারণে দলের অভ্যন্তরেও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অসন্তোষ রয়েছে। যে কারণে খালেদা জিয়ার পর দলে তিনি নিজের নেতৃত্ব কতটা শক্তভাবে প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন, তা নিয়েও সন্দেহ দেখা দিয়েছে। দুর্নীতিতে আসক্ত একজন ব্যক্তিকে দিয়ে আর যা-ই হোক না কেন; রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব দেয়া সম্ভব না। এতে বিএনপিতে ভাঙন দেখা দিতে পারে, জনপ্রিয়তার ধস তো আগেই নেমেছে।

+ There are no comments

Add yours