কালো টাকা সাদা করার সুযোগ না থাকায় হতাশ মির্জা আব্বাস, রুমিন ফারহানা

1 min read

নিউজ ডেস্ক : শুক্রবার ২ মে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমার মনে হয় কালো টাকাওয়ালা মানুষদের অধিকাংশ লন্ডনে থাকেন। একটি নির্দিষ্ট দলের নেতারা কালো টাকা কামিয়ে দেশের বাইরে চলে গেছেন। এজন্য আগামীতে এ সুযোগ বাতিল করা হয়েছে।

এদিকে নিজের কাছে কালো টাকার পাহাড় গড়েও দেশে থাকা বিএনপির একাধিক নেতা এমন খবরের পর আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।

যদিও সরকারের এমন প্রশংসনীয় সিদ্ধান্তে সর্ব সাধারণ প্রশংসা করলেও সেখানে কেনো বিএনপি উদ্বেগ প্রকাশ করলো? এ বিষয়ে প্রশ্ন তৈরি হলে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিএনপিতে প্রচুর পরিমাণে কালো টাকার পাহাড় বানানো ব্যবসায়ী নেতা রয়েছেন। যারা ভেবেছিলো, কালো টাকা সাদা করার সুযোগ থাকলে, তারা সুযোগের সদ্ব্যবহার করে অবৈধ সম্পদকে বৈধ করবেন। কিন্তু তাদের আশায় গুড়ে বালি পড়ায় হতাশ হয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে বিএনপি।

এ প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপিতে কালো টাকা সাদা করার মতো ব্যবসায়ী নেই, সেটা অস্বীকার করছি না। তবে গত বছরে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়ায় ১৮ কোটি টাকা অতিরিক্ত কর সরকারি রাজস্ব খাতায় জমা পড়ে। উক্ত বিবেচনায় আমরা কালো টাকা সাদা করার সুযোগ না থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। এর বেশি কিছু নয়।

উল্লেখ্য, বিএনপিতে কালো টাকা সাদা করার মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল আউয়াল মিন্টু। যার অন্তত ৫ হাজার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ রয়েছে বলে ২০১৯ এর একটি অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে। এরপরের অবস্থানে রয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ২০০৫ সালের দিকে তার অবৈধ সম্পত্তির পরিমাণ ৭ হাজার কোটি টাকা থাকলেও বিগত ১৬ বছরে তার অবৈধ অর্থের পরিমাণ কমে বর্তমানে দাঁড়িয়েছে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকায়। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, যার অবৈধ সম্পত্তির পরিমাণ ৪ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু, রুমিন ফারহানাসহ বিএনপির শতাধিক নেতার ওপর অনুসন্ধান চালিয়ে জানা যায় প্রত্যেকেরই বিপুল অংকের কালো টাকা বর্তমানে বিদ্যমান রয়েছে। যেখানে এবারের বাজেটে অনেকেই চেয়েছিলেন, তাদের কালো টাকা সাদা করতে। কিন্তু এবারের বাজেটে এমন সুযোগ না থাকায় বিএনপির কালো টাকার মালিকদের মধ্যে হতাশা লক্ষ্য করা গেছে বলে সূত্র জানিয়েছে।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours