জায়েদার অবাস্তব ইশতেহার নিয়ে সমালোচনার ঝড়

1 min read

আজ অনুষ্ঠিত হবে গাজীপুর সিটি নির্বাচন। আলোচিত এই নির্বাচন ঘিরে গাজীপুরসহ সারাদেশের রাজনৈতিক মহলে চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। এরমধ্যে ৯ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর মা স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন। তাঁর এই ঘোষিত ইশতেহার সামর্থ্যের বাইরে কল্পনাপ্রসূত এবং বাস্তবসম্মত নয় বলে অনেকেই মন্তব্য করেছেন।

নির্বাচনে জয়ী হলে আগামী পাঁচ বছরের জন্য নগরীর সব বাড়িঘরের হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফ করা হবে বলে ঘোষণা দেন জায়েদা খাতুন।

গত মঙ্গলবার দুপুরে মহানগরের ছয়দানা বাড়িতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৯ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেন জায়েদা খাতুনের প্রধান সমন্বয়কারী সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। এ সময় পাশে ছিলেন টেবিল ঘড়ির প্রার্থী তাঁর মা জায়েদা।

স্বতন্ত্র প্রার্থীর এমন ইশতেহারের কথা শুনে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নৌকার প্রার্থী আজমত উল্লা খান সমকালকে বলেন, ‘সস্তা জনপ্রিয়তার জন্য তিনি এসব কথা বলেছেন। কারণ সিটি করপোরেশনের যে নিজস্ব আয়, এর প্রধান উৎস হোল্ডিং ট্যাক্স। এটিকে মওকুফ করার ক্ষমতা কোনো মেয়রের নেই। আমি মনে করছি, এটি তিনি জনগণকে লোভ দেখানোর জন্য বলেছেন।’ জায়েদার ইশতেহার প্রসঙ্গে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) গাজীপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার শিশির বলেন, ‘হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফ করার বিষয়টি হাস্যকর। বিষয়টি নিতান্তই নির্বাচনী প্রচারণামূলক অভিব্যক্তি বলেই মনে করছি।’

জায়েদা খাতুনের পক্ষে জাহাঙ্গীর আলম তাঁর ৯ দফা ইশতেহারে বলেন, কোনো নারী উদ্যোক্তা হতে চাইলে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে তিন বছর মেয়াদে বিনা সুদে ঋণ দিয়ে সহায়তা করা হবে। আউটার রিং রোড নির্মাণ, পর্যাপ্ত সংযোগ ব্রিজ নির্মাণ, যাতায়াতের একাধিক বিকল্প রাস্তা তৈরি, গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে ফ্লাইওভার, নিরাপদ সড়ক ও নিরাপদ যাতায়াতের জন্য ফুট ওভার, জেব্রা ক্রসিং নির্মাণ, বর্জ্যে ব্যবস্থাপনার স্থায়ী সমাধান করা হবে।

তিনি বলেন, হোল্ডিং অনুযায়ী বিভিন্ন সেবা ডিজিটালাইজড করার লক্ষ্যে ডিজিটাল হোল্ডিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বাস্তবায়ন ও স্মার্ট হোল্ডিং কার্ড দেওয়া হবে। জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সিটি এলাকায় জোন-ওয়ার্ডভিত্তিক মডেল মসজিদ তৈরি করে ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার ও ইসলামিক পাঠাগার চালু করা হবে। সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত সব মসজিদের ইমাম, খতিবদের মাসিক সম্মানী ভাতা দেওয়া হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন কবরস্থান নির্মাণ করা হবে। নারীদের নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় এবং ধর্ম-কর্ম পালনের জন্য বিশেষায়িত মসজিদ নির্মাণ করা হবে।

ইশতেহার ঘোষণার পর জায়েদা খাতুন বলেন, ‘নির্বাচিত হলে আমার ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের পরিকল্পনা অনুযায়ী তার সব অসমাপ্ত কাজ শেষ করব। মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সাময়িক বরখাস্তের পর প্রায় ১৮ মাস পার হলেও তারা আপনাদের নির্বাচিত মেয়রের কোনো দুর্নীতি-অনিয়ম প্রমাণ করতে পারেনি।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours